সম্প্রতি রাইসিনা সংলাপে অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের 'ভুল' ধরেছিলেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বলেছিলেন, 'কাশ্মীরে দখলদারির বিষয়টিকে বিতর্ক বলে দাবি করা হচ্ছে।' এই নিয়ে আমেরিকা, ব্রিটেন সহ পশ্চিমা দেশগুলির উল্লেখ করেছিলেন জয়শংকর। আর এবার জয়শংকরের সেই মন্তব্যের জবাব দিল পাকিস্তান। এই নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র শফাক তআলি বলেন, 'কাশ্মীর সংক্রান্ত রেজোলিউশন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং এর সদস্যদের নিয়ে বলার কোনও অধিকার নেই ভারতের। কারণ তারা নিজেরাই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে গিয়েছিল।' (আরও পড়ুন: ISI কর্তাদের পরে বাংলাদেশ যাবেন পাক বিদেশমন্ত্রী, আলোচনা হবে প্রতিরক্ষা নিয়ে)
আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগ ‘আবার ফিরছে’, ঢাকায় বসেই হাসিনার দল নিয়ে বড় কথা খোদ ইউনুসের
আরও পড়ুন: ইউনুসের বক্তব্যে না-খুশ, রাত ২টোয় উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফিরল অগস্টের স্মৃতি
এর আগে রাইসিনা সংলাপে জয়শংকর বলেন, 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে কাশ্মীরে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী অবৈধ উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য অন্য কোনও দেশের ভূখণ্ড দখল করে রাখা হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রসংঘে গিয়েছিলাম। যা ছিল দখলদারি, তা বিতর্কে পরিণত করা হয়েছে। তাহলে হামলাকারী ও নির্যাতিতকে সমানে সমানে দাঁড় করানো হল, দোষী পক্ষ কারা? ব্রিটেন, কানাডা, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।' এরই সঙ্গে জয়শংকর আরও বলেছিলেন, 'আমরা চাই শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু শক্তিশালী রাষ্ট্রপুঞ্জ তৈরির জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষতা। শক্তিশালী বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরি করতে হলে কিছু মৌলিক মানদণ্ড বজায় রাখতে হয়। অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা যেমন দরকার, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাও প্রয়োজন।' (আরও পড়ুন: হামাস যোগে ধৃত ভারতীয়কে দেশছাড়া করতে পারবেন না ট্রাম্প, নির্দেশ মার্কিন আদলতের)
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়িতে মিলল টাকার পাহাড়, তড়িঘড়ি ডাকা হল কলেজিয়ামের বৈঠক
আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীতের 'অপমান' করার অভিযোগ নীতীশের বিরুদ্ধে, সামনে এল ভিডিয়ো, তোপ RJD-র
তবে কাশ্মীর ইস্যুতে জয়শংকর যে রাষ্ট্রসংঘের সমালোচনা করেন, তাতে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে পাকিস্তান। এর আগে সম্প্রতি লন্ডনের চ্যাথাম হাউজের একটি অনুষ্ঠানেও অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গে সরব হতে দেখা গিয়েছিল জয়শংকরকে। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও রাষ্ট্রসংঘের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছিল মার্কিন পডকাস্টারের শো-তে। তিনি দাবি করেছিলেন, রাষ্ট্রসংঘ প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। তিনি বলেছিলেন, 'যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা তৈরি হয়েছিল, সেগুলো প্রায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। সেগুলোতে কোনও সংস্কার নেই। রাষ্ট্রসংঘের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। বিশ্বের যেসব মানুষ আইন-কানুনকে গুরুত্ব দেয় না, তারা সবকিছু করছে, কেউ তাদের থামাতে পারছে না।'