গণেশ মূর্তি বিসর্জনকে ঘিরে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছিল কর্ণাটকের নাগমঙ্গলায়। সেই ঘটনার পর এখনও থমথমে রয়েছে এলাকা। তারইমধ্যে এবার মিলাদ উন নবির মিছিলে প্যালেস্তাইনের পতাকা ওড়ানোর অভিযোগ উঠল কর্নাটকের তিনটি শহরে। এছাড়াও মসজিদ লক্ষ্য করে ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা এদের মধ্যে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাগুলি ঘটেছে চিত্রদুর্গা, দাভানাগেরে এবং কোলার শহরে। এছাড়া, ম্যাঙ্গালুরুতে সুরথকালের কাছে একটি মসজিদে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে । এই ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: গণেশ পুজোর নিরঞ্জনকে ঘিরে সংঘর্ষ কর্ণাটকে, আজ বনধের ডাক VHP ও বজরং দলের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাঙ্গালুরু থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বান্টওয়াল থেকে আরও একটি অশান্তির ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে মান্ডিয়া জেলার নাগামঙ্গলাতে। গণেশ মূর্তি বিসর্জনের মিছিলে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পরই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
বিজেপির আর অশোক এবং সিটি রবি সিদ্দারামাইয়া নাগামঙ্গলার হিংসা সহ সমস্ত হিংসার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাদের দাবি তারা সন্ত্রাসীদের কাজ। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন প্রতিবেশী রাজ্য থেকে এসে এই হিংসা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে, চিত্রদুর্গে একদল যুবক মিলাদ উন নবির মিছিলে প্যালেস্তাইনের সমর্থনে স্লোগান দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ প্যালেস্তাইনের দুটি পতাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রতিবেশী দাভাঙ্গেরেতেও রবিবার সন্ধ্যায় থানার কাছে একটি মোবাইল টাওয়ারে পতাকা লাগানো নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনায় পুলিশ আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। এরপর পতাকাগুলি সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। কোলারেও এমজি রোডের আঞ্জুমান ভবনের কাছে একটি প্যালেস্তাইনের পতাকা দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে, মসজিদে পাথর ছোড়ার ঘটনায় ম্যাঙ্গালুরুর কমিশনার অনুপম আগরওয়াল বলেছেন, এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনেরই অপরাধের ইতিহাস রয়েছে। জানা যায়, রবিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে সুরথকলের কাছে কাটিপাল্লার মসজিদুল হুদা জুমা মসজিদে ঢিল ছোড়ে অভিযুক্তরা। মসজিদের সভাপতি কে এইচ আব্দুল রহমানের দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী মসজিদের জানালার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বান্টওয়াল ক্রস রোডে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।