একে করোনাভাইরাস, তার ওপর আবার সেটার প্রকোপ রোধে লকডাউন। হুহু করে পড়ছে শেয়ার বাজার। ফলে গত দুই মাসেই অনেকটা ধন সম্পদের মূল্য কমেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার মুকেশ আম্বানির। তাঁর মোট ধনরাশির মূল্য কমেছে ২৮ শতাংশ। প্রায় ১৯ বিলিয়ন ডলার বাজারে খুইয়েছেন মুকেশ। এখন তিনি ৪৮ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক।
এর জেরে বিশ্বে ধনীদের তালিকায় নয় থেকে ১৭ স্থানে চলে গিয়েছেন মুকেশ আম্বানি, বলে জানিয়েছে হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট। প্রতি দিন গড়ে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন অর্থাত্ ২০০০ কোটি লোকসান হচ্ছে তাঁর। এরফলে দুই মাসে ১৪৪৩৭১ কোটি টাকা কমেছে মুকেশের সম্পদেরমূল্য।
তবে শুধু মুকেশ আম্বানি নয়। গৌতম আদানি ( ৬ বিলিয়ন). শিব নাদর (৫ বিলিয়ন) ও উদয় কোটাক ( ৪ বিলিয়ন) এই বাজারে খুইয়েছেন। ফলে এই তিন ভারতীয় বিশ্বের ১০০ ধনীতম তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছেন। শুধু আছেন মুকেশ আম্বানি। গত দুই মাসে ২৬ শতাংশ কমেছে শেয়ার বাজার। ডলারের সাপেক্ষে টাকা দুর্বল হয়েছে প্রায় পাঁচ শতাংশ। এর জেরেই সমস্যায় ভারতীয় ধনকুবেররা।
বিশ্বে মুকেশ আম্বানি ধনসম্পদ ক্ষয়ের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে। যাদের সবচেয়ে বেশি ধনরাশি কমেছে তাদের তালিকায় প্রথম দশে আছেন বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ, ল্যারি পেজ, সার্গাই ব্রিন, মাইকেল ব্লুমবার্গ।
লকডাউনের জেরে খুব বিপাকে হোটেল ব্যবসা। ফলে বিলিওনার খেতাব হারালেন ওয়ো রুমসের রিতেশ আগরওয়াল। বিশ্বে এখনও সবচেয়ে ধনী জেফ বেজোজ। মাত্র ৯ শতাংশ সম্পদের মান কমেছে তাঁর করোনার বাজারে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন বিল গেইটস, তৃতীয় স্থানে ওয়ারেন বুফে।
তাত্পর্য্যপূর্ণভাবে, চিন থেকে এই করোনা ছড়ালেও চিনের ব্যবসায়ীরা গত দুই মাসে তেমন খারাপ করেনি। প্রথম একশোতে ছয়জন চিনের বিলিওনেয়ার এসেছেন গত দুই মাসে।