পাড়ার মোড় হোক, কিম্বা বড় রাস্তা, এদেশের গলি থেকে রাজপথ দূর থেকে দেখতে পাওয়া ভিড়ই বলে দেয় যে কোন জায়গায় জনপ্রিয় ফুচকা বিক্রেতা রয়েছেন। বহু এলাকার ফুচকা বিক্রেতাই তাঁর হাতের গুণে এলাকায় প্রসিদ্ধ। বহু এলাকার ফুচকার স্বাদও খবরের শিরোনাম কেড়েছে বহুবার। তবে এবার খোদ এক ফুচকা বিক্রেতা খবরে। তাঁকে পাঠানো হয়েছে জিএসটি নোটিস। এমনই দাবি এক ভাইরাল পোস্টের। কিন্তু কেন পাঠানো হল জিএসটি নোটিস? দেখা যাক, গোটা ঘটনাটি।
তামিলনাড়ুর এক ফুচকা বিক্রেতা ইতিমধ্যেই খবরের শিরোনাম কেড়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে, তাঁর কাছে আসা জিএসটি নোটিসের (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা, সেই নোটিসের ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ) ছবি। নেটপাড়ায় এই নিয়ে তুঙ্গে হইচই। জানা গিয়েছে, ওই ফুচকা বিক্রেতা ফুচকা বিক্রি করে ৪০ লাখ টাকা অনলাইনে রোজগার করেছেন গত অর্থবর্ষে, অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে। অনলাইনে ইউপিআই পেমেন্টে তাঁর লেনদেনের হিসাব সরকারের নজরে পড়তেই প্রশাসনের চক্ষু চড়কগাছ। উল্লেখ্য, রেজার পে-র ফোন পে-র মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে বহু ভেন্ডরের আয় কতটা নিয়মের আওতায় থাকছে না থাকছে, তা নিয়ে ফোকাস আরও বাড়াচ্ছে প্রশাসন। এবার আসা যাক তামিলনাড়ুর সেই ফুচকা বিক্রেতার ঘটনায়। গত ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে তামিলনাড়ু গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স অ্যাক্ট এবং সেন্ট্রাল জিএসটি অ্যাক্টের সেকশন ৭০ ধারায় তাঁর কাছে নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসে তাঁর কাছ থেকে গত ৩ বছরের লেনদেনের খতিয়ান চাওয়া হয়েছে। তাঁকে সশরীরে গিয়ে এই বিষয়ে নথি পেশের কথা বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরে।
( 32 Years Without Bath: মহাকুম্ভে ভাইরাল ছোটু বাবা! ৩২ বছর স্নান করেননি কেন? প্রশ্ন শুনেই বললেন...)
এদিকে, বহু রিপোর্ট বলছে, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ব্যবসায়ীর বার্ষিক টার্নওভার বা আয় ২০ লাখের বেশি হলে তাঁর জিএসটি রেজস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। জানা যাচ্ছে, ওই ফুটকা বিক্রেতার বার্ষিক আয়ের সীমা পার করায় প্রশাসনের তরফে ফুচকা বিক্রেতার কাছে নোটি পাঠিয়েছে প্রশাসন। এদিকে, প্রশ্ন উঠছে ফুচকা বিক্রেতার জিএসটি রেজিস্ট্রেশন কি রয়েছে? সেই জায়গা থেকে এই ইস্যুতে তুমুল ঝড় নেটপাড়ায়। একজন রেডিট ইউজার বলছেন, ‘ওনার জিএসটির আওতায় নিজেকে রেজিস্টার করা প্রয়োজন।’ আরেকজন ইউজার মজার চলে বলছেন, জিএসটি এবার ‘গোলগাপ্পা সেভপুরী ট্যাক্স’। আপাতত এই নোটিস নিয়ে সরগরম নেটপাড়া।