নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে রুল তৈরিতে সময়সীমা বেঁধে দিল কেন্দ্র।সিএএ–এর এখনও কেন বাস্তবায়িত হচ্ছে না, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। মতুয়াদের ক্ষোভ প্রশমনে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার এবার বিধি প্রণয়নের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিল। অন্যদিকে এদিনই বাংলায় অমিত শাহ বলেন যে সিএএ চালু হবেই, চিন্তা নেই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানান, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে সিএএ লাগু হয়ে যায়। নতুন বা সংশোধিত আইনের ক্ষেত্রে রুল জারি করা বাধ্যতামূলক। আইন হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে এই রুল তৈরি করতে হয়। কিন্তু ৬ মাসের বেশি সময় কেটে গেলেও এখনও কোনও রুল জারি হয়নি।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে রুল তৈরির জন্য লোকসভার কমিটিকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ও রাজ্যসভার কমিটিকে ৯ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সিএএ করার মূল উদ্দেশ্যই হল, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দেওয়া। সিএএতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা ভারতে এসেছেন, তারাই এদেশের নাগরিক হিসাবে বিবেচিত হবেন। কেন্দ্রের এই সিএএ আইন পাশের পর সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। খোদ রাজধানী দিল্লির বুকে বিভিন্ন জায়গায় এনআরসি ও সিএএ–এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এনআরসি ও সিএএ–এর প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে বড় আন্দোলন সংগঠিত হয়। যদিও গত ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশ জুড়ে করোনার জেরে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ার পর সিএএ আন্দোলন স্থিমিত হয়ে পড়ে। যদিও এখনও সেই বিক্ষোভের আগুন ধিকি ধিকি করে জ্বলছে।