এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থায় জীবাণুনাশক আলট্রাভায়লেট রশ্মিযুক্ত প্রযুক্তি, অধিবেশনের সরাসরি সম্প্রচারের জন্য ১০টি ডিসপ্লে স্ক্রিন, রাজনৈতিক দলের নাম লেখা প্ল্যাকার্ড, শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নামযুক্ত আসন এবং দুই কক্ষের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী কেবল নেটওয়ার্ক। বর্ষাকালীন অধিবেশনের জন্য ঢেলে সাজানো হচ্ছে সংসদ ভবন।
জানা গিয়েছে, সংসদের প্রধান কক্ষে স্থান হবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বিশিষ্ট নেতাদের। অন্যান্য সাংসদ, এমনকি শাসকদলের নেতারাও বসবেন গ্যালারিতে। এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্য সভার চেয়ারম্যান বেঙ্গাইয়া নায়ডুর পরিকল্পনায়। সংসদীয় ইতিহাসে এই প্রথম অধিবেশন চলাকালীন ব্যবহার করা হবে চেম্বার ও গ্যালারি উভয় স্থানই।
রাজ্য সভা ও লোক সভার অধিবেশনে যে হেতু লোক সভা ও রাজ্য সভার চেম্বার ও গ্যালারি সবই অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে, সেই কারণে সেখানে ব্যবস্থা থাকছে ৪টি বড় এবং ৬টি ছোট ডিসপ্লে স্ক্রিন-এর। এ ছাড়া গ্যালারিতে ছাকছে অডিও কনসোল, দুই কক্ষের মধ্যে সংযোগ রক্ষায় অডিও-ভিস্যুয়াল সিগনাল আদানপ্রদানের জন্য বিশেষ কেবল নেটওয়ার্ক।
ম্বার ও গ্যালারিকে বিচ্ছিন্ন রাখতে পলিকার্বোনেট শিট-এর বিভাজন ব্যবস্থা, এয়ার কন্ডিশনিং ব্যবস্থায় আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি সমৃদ্ধ জীবাণুনাশক ব্যবস্থা, ইত্যাদি। উল্লেখ্য, রাজ্য সভার সাংসদদের গড় বয়স ৬৩.৩৯ বছর এবং লোক সভার সদস্যদের গড় বয়েস ৫৪। তবে দুই কক্ষ মিলিয়ে সাংসদদের অর্ধেকেরই বয়স ৫৬ পার হয়ে গিয়েছে।
সংসদে সংশ্লিষ্ট দলের সাংসদ সংখ্যার উপর ভিত্তিকরে আসন বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লোক সভা অধিবেশনে স্থানাভাব দূর করতে ব্যবহার করা হবে সেন্ট্রাল হলও। সাংসদদের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই।
দুই কক্ষের অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচারের দায়িত্ব যথারীতি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সভা টিভি এবং লোক সভা টিভি চ্যানেলকে। বিভিন্ন নথিপত্র ব্যবহার যথাসম্ভব কম করার জন্য সচিবালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সভা ও লোকসভার দুই প্রধান পরিচালক বেঙ্কাইয়া নায়ডু এবং ওম বিড়লা।