সব মিলিয়ে ১৪১জন এমপিকে সংসদ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ৩৩জনকে বের করা হয়েছিল। ১৩জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল গত সপ্তাহে। ৪৯জনকে মঙ্গলবার সকালে। সব মিলিয়ে ১৪১জন এমপি বরখাস্ত করা হল। এদিকে শীতকালীন অধিবেশনের এখনও তিনদিন বাকি। তার আগে এই কাণ্ড! এদিকে আগামী বছরের লোকসভা ভোটের আগে এটাই সংসদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন।
তবে তার মধ্য়েই একের পর এক সাংসদকে বের করে দেওয়া হল অধিবেশন থেকে। সেক্ষেত্রে এবার প্রশ্ন সব মিলিয়ে কতজন বিরোধী সাংসদ থাকছেন লোকসভাতে?
সেই পরিসংখ্যানটা দেখে নেওয়া যাক…
সব মিলিয়ে লোকসভায় ৫৪৩টি আসন রয়েছে। ২১টি আসন শূন্য রয়েছে। তার মানে আসন রয়েছে ৫২২। তার মধ্যে ৩২৩টি আসনে হয় বিজেপি বা তার শরিকদলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
এদিকে লোকসভায় বিরোধী সাংসদ রয়েছেন ১৪২জন। তার মধ্যে ৬৭ শতাংশকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাহলে সব মিলিয়ে ৪৭জন বিরোধী সাংসদ রয়েছেন সংসদে। আর রাজ্যসভায় ১০০জন মতো বিরোধী সাংসদ এখনও রয়েছেন যাদের বরখাস্ত করা হয়নি।
অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি, বিজু জনতা দলের সাংসদরা সংসদে রয়েছেন। এনডিটিভির খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, লোকসভার ওয়েবসাইট অনুসারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও হরদীপ সিং পুরী দুটি বিলকে সামনে আনেন।
এই অধিবেশনে অন্যতম প্রধান বিরোধী মুখ কংগ্রসের শশী থারুর ও কে চিদম্বরম, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে ও সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, ফারুক আবদুল্লাহ রয়েছেন।
এদিকে কংগ্রেসের দুই প্রধান নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও গৌরব গগৈকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিন সংবাদমাধ্য়মের সামনে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধীরা।
এদিকে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধীদের একহাত নেন। এদিকে গত সপ্তাহে সংসদের দর্শক আসন থেকে লাফিয়ে পড়েছিল দুজন। এরপর এনিয়ে সাংসদদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এনিয়ে সাংসদ উত্তাল হয়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন।