একুশে জুলাইয়ে শহিদ সমাবেশের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি তাঁদের। কিন্তু আজ নয়াদিল্লিতে পা রেখেই বাংলার রেল প্রকল্পের দাবিতে সোচ্চার হলেন তাঁরা। সংসদে আজ, সোমবার বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করবেন। আর তার প্রাক্কালে বাংলার চার সাংসদ সংসদে গর্জে উঠলেন। এখানে তিনজন লোকসভার সাংসদ আর একজন রাজ্যসভার সাংসদ আজ বাংলার দাবিদাওয়া নিয়ে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের না হওয়া কাজ নিয়ে সুর সপ্তমে তোলেন তাঁরা।
এই চারজন সাংসদ হলেন—সায়নী ঘোষ, মিতালি বাগ, জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবং সুখেন্দুশেখর রায়। প্রথম বক্তব্য রাখতে গিয়ে কবি সুভাষ–বারুইপুর মেট্রোর কাজ গত ১৩ বছরে একদম না এগোনোয় সরব হন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সায়নী ঘোষ। তাঁর পাশাপাশি আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ প্রশ্ন করেন, আরামবাগ–বিষ্ণুপুর রেলপথ সম্প্রসারণ থমকে থাকা নিয়ে। সায়নী এবং মিতালি দু’জনেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম জিতেছেন। দু’জনেই নিজেদের সংসদীয় কেন্দ্রের সমস্যা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন। যার মূল বিষয় মেট্রো ও রেল। আর তাতেই সরগরম হয়ে ওঠে সংসদ।
আরও পড়ুন: আরবের মাটিতে কোটা বিরোধী প্রতিবাদ, বেশ কয়েকজন বাংলাদেশের নাগরিকের জেল
আজ লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। সেখানেই সায়নী ঘোষ বলেন, ‘২০১১–১২ অর্থবর্ষের রেল বাজেটে কবি সুভাষ থেকে বারুইপুর পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণ অনুমোদিত হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। ২০১৭ সালের মধ্যে আদিগঙ্গার উপরে মেট্রো ট্র্যাক নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে বলে প্রস্তাব ছিল। তাও হয়নি।’ সাংসদ মিতালি বাগের বক্তব্য, ‘বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করে টাকা পাননি। বাংলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। তাঁদের প্রাপ্য অর্থ ফিরিয়ে দিন। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আরামবাগ–বিষ্ণুপুর রেল সম্প্রসারণের বিষয়ে বরাদ্দ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেই কাজ গত ১৩ বছরে কিছুই হয়নি।’
এরপর সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া কোচবিহারের দাবি তুলে ধরেন। কোচবিহারে রেল ওভারব্রিজ নিয়ে দাবি জানান তিনি। এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে জয়ী হন জগদীশবাবু। তিনি বলেন, ‘কোচবিহার জেলা রাজার শহর। সেখান থেকে যাতায়াতের জন্য রেল স্টেশন আছে কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কোচবিহারে রেল ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েও পড়ে আছে। সেটা শুরু বলে ভাল হবে।’ সুখেন্দুশেখর রায়ের কথায়, ‘বাংলার দুর্লভ পুরাকীর্তি বাংলাকে ফেরানো হোক। যে সামগ্রী এবং দ্রব্য নানা জায়গা থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে। পাচার হয়ে যাচ্ছে বিদেশে। সেদিকে নজর দেওয়া হোক।’