আজ থেকে সংসদে শুরু হল পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন। সরকারের ডাকা এই অধিবেশন নিয়ে জল্পনা চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। এই আবহে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনে কী হচ্ছে? সংসদের বিশেষ অধিবেশন নিয়ে যাবতীয় লাইভ আপডেট জানতে চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার ব্লগে।
‘নতুন সংসদ ভবনটি খুব সুন্দর’
কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘আমরা এখনও লুকনো অ্যাজেন্ডাগুলির জন্য অপেক্ষা করছি... আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি... নতুন সংসদ ভবনটি খুব সুন্দর কিন্তু এর ভিতরে কী ঘটবে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ… ভবনের ভিতরে যা আলোচনা হবে তার দিকেই আমাদের সকলের নজর থাকবে।’
মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে সওয়াল কংগ্রেস সাংসদের
মহিলা সংরক্ষণ বিল সম্পর্কে কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল বলেন, 'এটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এবং ইউপিএ-র মস্তিষ্কপ্রসূত। আমরা স্থানীয় প্রশাসনে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি। আমরা সম্পূর্ণভাবে মহিলাদের সংরক্ষণের পক্ষে। যদি কেন্দ্রের মনে কোনও আন্তরিকতা থাকে, তাহলে তাদের উচিত এই অধিবেশনে নারী সংরক্ষণ বিল পাশ করানো।'
‘অক্লান্ত ভাবে বিরোধীদের কথা শুনতেন পণ্ডিত নেহরু’
অধীর আরও বলেন, 'পণ্ডিত নেহরু সংসদে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা উপভোগ করতেন। তাও তিনি অক্লান্ত ভাবে বিরোধীদের কথা শুনতেন। তিনি বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় কখনও ঠাট্টা করেননি বা বিভ্রান্ত করেননি। এমনকী তাঁর বক্তৃতার সময় স্পিকারের ঘণ্টাও বাজত। জওহরলাল নেহরু তাঁর সময় অতিক্রম করলেই সেই ঘণ্টা বাজত। সংসদে বক্তৃতা করার সময় সময়সীমা মানতেন তিনি। তিনি সংসদের অবমাননা করতে চাননি। এটাই ছিল ভারতে সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশে নেহরুর অবদান।'
‘এটা সবার জন্য সত্যিই একটি আবেগঘন মুহূর্ত’
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'আজকের এই পুরনো সংসদ ভবন থেকে সরে যেতে হবে আমাদের। এটা সবার জন্য সত্যিই একটি আবেগঘন মুহূর্ত। আমরা সবাই আমাদের পুরনো সংসদ ভবনকে বিদায় জানাতে এখানে উপস্থিত হয়েছি। পণ্ডিত নেহরু বলেছিলেন যে সংসদীয় গণতন্ত্রে অংশ নিতে হলে অনেক গুণের প্রয়োজন। যোগ্যতা, কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং স্ব-শৃঙ্খলা থাকা প্রয়োজন।'
'বেশ কিছু ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সংসদ'
মোদী বলেন, ‘বেশ কিছু ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত এবং কয়েক দশক ধরে অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান হয়েছে এই হাউসে। হাউস সর্বদা গর্ব করে বলবে যে ৩৭০ ধারা বাতিল করা সম্ভব হয়েছে আমাদের কারণে। এখানে পাস হয়েছে জিএসটি। ওয়ান র্যাঙ্ক ওয়ান পেনশনের সাক্ষী ছিল এই হাউস। কোনও বিতর্ক ছাড়াই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ সফলভাবে অনুমোদিত হয়েছিল এই সংসদে।’
‘নেহরুজির বক্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে’
প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, ‘অ্যাট দ্য স্ট্রোক অফ মিডনাইট… নেহরুজির এই বক্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।’ এরপর ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে মোদী বলেন, ‘এই সংসদ বাংলাদেশের মুক্তির জন্য ইন্দিরা গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়েছিল।’ এরপর জরুরি অবস্থার উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘এই সংসদ ভবন যেমন জরুরি অবস্থা দেখেছে, তেমনই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত হতেও দেখেছে।’ এদিকে নরসিংহ রাওয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বে ভারতের উন্মুক্ত অর্থনীতি গ্রহণের প্রশংসাও করেন মোদী।
সংসদ হামলা নিয়েও বললেন মোদী
মোদী বলেন, ‘এই সংসদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এটা শুধুমাত্র কোনও এক ভবনে হামলা ছিল না। এটা গণতন্ত্রের জননীর ওপর, আমাদের জীবন্ত আত্মার ওপর আক্রমণ ছিল। সে ঘটনা দেশ কখনও ভুলতে পারবে না। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় সংসদ এবং সকল সদস্যদের রক্ষা করার জন্য যারা বুকে বুলেট খেয়েছিলেন আমি তাঁদের কাছেও মাথা নত করছি।’
'এই ভবনটিকে বিদায় জানানো একটি আবেগময় মুহূর্ত'
মোদী বলেন, 'এই ভবনটিকে বিদায় জানানো একটি আবেগময় মুহূর্ত... এর সাথে অনেক তিক্ত-মিষ্টি স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা সকলেই সংসদে মতভেদ ও বিরোধ প্রত্যক্ষ করেছি। কিন্তু একই সাথে আমরা 'পরিবার' হওয়ার অনুভূতিও প্রত্যক্ষ করেছি।'
‘এটা ভারতের শক্তি…’
মোদী বলেন, ‘ভারত গর্বিত। যখন আমরা জি২০ সভাপতি ছিলাম, তখন আফ্রিকান ইউনিয়ন এর সদস্য হয়েছিল। আমি সেই আবেগময় মুহূর্তটি ভুলতে পারি না। যখন এই ঘোষণা করা হয়েছিল, আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কথা বলার সময় ভেঙে পড়বেন। আপনি কল্পনা করতে পারেন যে ভারতের এত বড় আশা এবং প্রত্যাশা পূরণের অংশ ছিল। এটা ভারতের শক্তি যে আমরা সর্বসম্মত ভাবে ঘোষণাপত্র গ্রহণ করার বিষয়টি সম্ভব করেছি। আপনার সভাপতিত্বে P20 - G20 পার্লামেন্ট স্পিকার্সের শীর্ষ সম্মেলন হবে। তাতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে।’
‘রেল প্ল্যাটফর্মে বসবাসকারী এক ছেলে সংসদে…’
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘সাংসদ হিসেবে যখন প্রথম এই ভবনে (সংসদ) প্রবেশ করি, তখন গণতন্ত্রের মন্দিরকে প্রণাম করে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলাম। এটা আমার জন্য একটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত ছিল। রেলওয়ে প্ল্যাটফর্মে বসবাসকারী দরিদ্র পরিবারের একটি শিশু কখনও সংসদে প্রবেশ করতে পারবে, তা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। মানুষের এত ভালোবাসা পাব তা কল্পনাও করিনি।’
'জি২০-র সাফল্য কোনও ব্যক্তি বা দলের সাফল্য নয়'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ, আপনি (স্পিকার ওম বিড়লা) সর্বসম্মতভাবে জি২০-র সাফল্যের প্রশংসা করেছেন... আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জি২০-র সাফল্য দেশের ১৪০ কোটি নাগরিকের। এটা ভারতের সাফল্য, কোনও ব্যক্তি বা দলের সাফল্য নয়... এটা আমাদের সকলের উদযাপনের বিষয়।’
‘চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য শুধু ভারতকেই নয় বিশ্বকে গর্বিত করেছে’
সংসদে মোদী বলেন, ‘আজ, সমস্ত ভারতীয়দের অর্জন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। এটা আমাদের সংসদের ৭৫ বছরের ইতিহাসে আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফল। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য শুধু ভারতকেই নয় বিশ্বকে গর্বিত করেছে। এটি ভারতের শক্তির একটি নতুন রূপ তুলে ধরেছে। প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, আমাদের বিজ্ঞানীদের সম্ভাবনা এবং দেশের ১৪০ কোটি মানুষের শক্তির সাথে যুক্ত এটা। আজ আমি আবারও আমাদের বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানাতে চাই।’
‘এই সংসদ ভবন তৈরিতে পরিশ্রম ছিল ভারতীয়দের’
নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই ভবনটিকে আমরা সবাই বিদায় জানাচ্ছি। স্বাধীনতার আগে এই ভবনটি ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল ছিল। স্বাধীনতার পর এটি সংসদ ভবনের পরিচিতি লাভ করে। এটা ঠিক যে এই ভবনটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত বিদেশি শাসকদের দ্বারা নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমরা কখনও ভুলতে পারি না যে এই ভবনের নির্মাণে পরিশ্রম করেছিলেন ভারতীয়রা। আমরা গর্ব করে বলতে পারি যে এই ভবন তৈরিতে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা আমার দেশবাসীর।’
জি২০-র সাফল্যে মোদীকে অভিনন্দন স্পিকারের
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, ‘জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য আমি প্রত্যেক ভারতীয়কে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি দেশের জনগণকে এই শীর্ষ সম্মেলন উৎসর্গ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর দৃষ্টিভঙ্গিরও প্রশংসা করি। ভারতের সভাপতিত্বে জি২০ জনগণকেন্দ্রিক ছিল এবং আগামী কয়েক দশকে এটি আমাদের একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে নয়াদিল্লি ঘোষণা সর্বসম্মতভাবে বিশ্বের নেতারা গৃহীত হয়েছিল। ভারত গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০-র স্থায়ী সদস্য হয়েছে।’
‘কোনও বিশেষ অধিবেশনের প্রয়োজন ছিল না’
ডিএমকে সাংসদ তিরুচি শিবা বলেছেন, ‘এই বিলগুলোর জন্য কোনও বিশেষ অধিবেশনের প্রয়োজন পড়ে না। গতকাল তারা যে সার্কুলার জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে যে এটি সাধারণ অধিবেশন... তাহলে অনুমান করা যেতে পারে যে শীতকালীন অধিবেশন আগে থেকেই শুরু হয়েছে। সরকারের অ্যাজেন্ডায় কী আছে, আমরা এখনও সে বিষয়ে অবগত নই। তাই আমরা এখনও অন্ধকারে আছি। এই অধিবেশন এবং যে বিলগুলি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।’
‘এই গোপনীয়তা কীসের জন্য?’ প্রশ্ন বাম সাংসদের
সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না কেন এই সরকার এই সমস্ত বিষয়কে ঘিরে গোপনীয়তা বজায় রাখছে। এই গোপনীয়তা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। আজ সংসদ শুরু হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই গোপনীয়তা কীসের জন্য? এটা দেখায় যে বিজেপি ষড়যন্ত্রমূলক প্রকৃতি, গোপন এবং গণতন্ত্রবিরোধী চিন্তাধারার দল। যদি তারা মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আসে, তাহলে কোনও সন্দেহই নেই যে আমরা তা সমর্থন করব।’
বিশেষ অধিবেশনের আগে বক্তব্য পেশ মোদীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সভাপতিত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে জি২০। দেশের ৬০টিরও বেশি জায়গায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সত্যিকার অর্থে ফেডারেল কাঠামো দেখা গিয়েছে জি২০-র সময়। ভারতের বৈচিত্র ফুটে উঠেছে এই সময়ে। জি২০ আমাদের এই বৈচিত্রের উদযাপনে পরিণত হয়েছিল। ভারত এই বিষয়ে গর্ববোধ করছে যে গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছি আমরা। আফ্রিকান ইউনিয়ন জি২০-র স্থায়ী সদস্য হয়েছে। এই সবই ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত।’
হুইপ জারি আপ-এর
সকল সাংসদদের সংসদের বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে হুইপ জারি আ আদমি পার্টির।
গণেশ পুজোর দিন নয়া সংসদ ভবনে প্রবেশ
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘(সংসদের বিশেষ অধিবেশনের) প্রথমদিনে পুরনো সংসদ ভবনে আলোচনা হবে। পরদিন অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বরে পুরনো সংসদ ভবনে ফোটোসেশন হবে। তারপর সকাল ১১ টায় সেন্ট্রাল হলে একটি অনুষ্ঠান হবে। সেটার পরে আমরা নয়া সংসদ ভবনে প্রবেশ করব। ১৯ সেপ্টেম্বর নয়া সংসদ ভবনে অধিবেশন শুরু হবে। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে নয়া সংসদ ভবনে নিয়মিত কাজকর্ম শুরু হবে।’
মহিলাদের সংরক্ষণ বিল পেশ করার দাবি বিরোধীদের
সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মহিলাদের সংরক্ষণ বিল পেশ করার দাবি তুলল একাধিক বিরোধী দল। যদিও বিশেষ অধিবেশনে সেই বিল পেশ করা হবে না বলেই ইঙ্গিত মিলেছে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর থেকে।
‘জনগণের সমস্যা’ নিয়ে আলোচনার দাবি তৃণমূলের
সংসদের পাঁচ দিনের অধিবেশনের আগে গতকাল, রবিবার সরকার সর্বদলীয় বৈঠক করেছিল। সেই বৈঠকেই তৃণমূলের তরফে বলা হয়, ‘জনগণের সমস্যা’ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি দিন নির্ধারণ করা উচিত এই বিশেষ অধিবেশনে।
ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে পারেন মোদী
আজকে বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই সংসদে বক্তৃতা রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
‘বিশেষ অধিবেশনের আসল উদ্দেশ্য অন্য’
কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন, তালিকাভুক্ত বিলগুলি শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ করা যেত। নভেম্বরেই শুরু হতে চলেছে সেটি। এই আবহে তাঁর আশঙ্কা, এই বিশেষ অধিবেশনের আসল উদ্দেশ্য অন্য। সরকার তা লুকিয়ে রেখেছে। এদিকে বিজেপি তাঁদের সব সাংসদদের এই অধিবেশন চলাকালীন সংসদে থাকতে হুইপ জারি করেছে।
তালিকাভুক্ত না থাকলেও কি অন্য বিল পেশ করতে পারে সরকার?
নিয়ম অনুযায়ী, যেসব বিল তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাছড়াও সংসদে অন্যান্য বিল পেশ করার ক্ষমতা রয়েছে সরকারের। এই আবহে সরকারের 'অ্যাজেন্ডা' নিয়ে কৌতুহলের অন্ত নেই। দেশের 'নাম বদল', 'এক দেশ, এক ভোট', 'অভিন্ন দেওয়ানি বিধি'র মতো কোনও ইস্যুতে সরকার এই পাঁচদিনে কোনও বিল আনতে পারে কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়ে গিয়েছে।
বিশেষ অধিবেশনকে ‘রেগুলার’ বলে কটাক্ষ অধীরের
সংসদের বিশেষ অধিবেশনকে ‘রেগুলার’ বলে কটাক্ষ বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর। তাঁর অভিযোগ, কোনও বিশেষ কিছুই হবে না এই অধিবেশনে।
বিশেষ অধিবেশন নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই
সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে গতকাল অনুষ্ঠিত হয় সর্বদল বৈঠক। তাতে সরকারের তরফে আরও জানানো হয়, প্রবীণ নাগরিকদের স্বার্থে একটি বিল পেশ হবে সংসদের এই পাঁচদিনের অধিবেশনে। এছাড়া তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতিদের স্বার্থে আরও তিনটি পৃথক বিল পেশ হবে সংসদ অধিবেশনে। তবে এই তালিকাভুক্ত বিলগুলি ছাড়া এই পাঁচদিনে আর কোনও বিল পেশ হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।
সংসদের বিশেষ অধিবেশনের জন্য এখনও পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ক'টি বিল?
সংসদের এই বিশেষ অধিনবেশনে মোট ৮টি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। অ্যাডভোকেট (সংসোধনী) বিল, দ্য প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিয়়িকাল বিল, পোস্ট অফিস বিলের মতো সব বিল পেশ করা হবে সংসদে। এদিকে এই অধিবেশন চলাকালীনই নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করবেন সাংসদরা। গণেশ চতুর্থীর দিন নয়া সংসদ ভবনে শুরু হবে অধিবেশন।
সংসদে পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশনে কী কী হবে?
সংসদে পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশনে কী কী হবে? সরকার ইতিমধ্যেই একটি সম্ভাব্য তালিকা প্রকাশ করেছে এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে। জানা গিয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্যানেল গঠন সংক্রান্ত বিল উত্থাপিত হতে চলেছে সংসদে। সেই বিলে নির্বাচন কমিশনার বেছে নেওয়ার প্যানেল থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
প্রথম দিনে কী হবে ?
আজ থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন। সরকারের ডাকা এই অধিবেশন নিয়ে জল্পনা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। তবে আজই সেই জল্পনার অবসান ঘটতে পারে। এদিকে অধিবেশনের প্রথম দিনে আজ ভারতীয় সংসদের ৭৫ বছরের যাত্রী নিয়ে আলোচনা করবে উভয় কক্ষ। এই সাড়ে সাত দশকে সংসদ দেশকে কী কী শিখিয়েছে, তা তুলে ধরা হবে।