ফৌজদারি মামলা রয়েছে এমন ব্যক্তিকে প্রার্থী করলেই হবে না। কেন এই ধরনের ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হল, এবার থেকে সেই কথাও রাজনৈতিক দলকে জানাতে হবে। উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটে নির্বাচনী আচরণবিধি পেশ করার সময়ে এই কথাই জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রয়েছে, তাঁকে প্রার্থী করা হলে সেই ব্যক্তির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিতে হবে। কেন এই ধরনের ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হল সেই কারণও ব্যাখ্যা করতে হবে ওই রাজনৈতিক দলকে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এই বিষয়ে তথ্য আঞ্চলিক স্তরে কোনও সংবাদ পত্রিকায় বা জাতীয় স্তরের কোনও সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত করার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। শুধু দলের ওয়েবসাইটেই নয়, ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াতেও যাতে এই তথ্য প্রকাশিত করা হয়, সেই কথাও জানিয়েছে কমিশন। ফৌজদারি মামলা রয়েছে, এমন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তথ্য যাতে সাধারণ ভোটাররা জানতে পারে, সেজন্য তাঁদের বিষয়ে একদিকে যেমন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হবে, অন্যদিকে বৈদ্যুতিন মাধ্যমেও খবর সম্প্রচারিত করতে হবে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল, কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি ফৌজদারি মামলা থাকে, তাহলে সেবিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে তাদের ওয়েবসাইটে জানাতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এক্ষেত্রে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে বলতে হবে, যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নেই, তাঁদের কেন প্রার্থী করা হবে না।