দিল্লি নির্বাচনে বড় চমক দিলেন বিজেপির পরবেশ বর্মা। নয়াদিল্লি আসন থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারিয়ে চর্চায় উঠে এসেছেন তিনি। তবে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইন্ডিয়া টিভিকে সরাসরি কোনও জবাব দেননি পরবেশ। সোজা কথায় তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব এবং পরিষদীয় দল।' তবে এরই মধ্যে সরকার গঠনের পরে বিজেপির অগ্রাধিকার নিয়ে বড় দাবি করলেন পরবেশ। জানিয়ে দিলেন, পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করা হবে। এবং মহিলাদের ২৫০০ টাকা করে দেওয়ার ব্য়বস্থা করা হবে।
এর আগে জয়ের পরপরই পরবেশ বলেন, 'দিল্লিতে যে সরকার তৈরি হতে চলেছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর চিন্তাধারা দিল্লিতে কার্যকর হবে। তিনি আমাদের প্রচারে সময় দেওয়ার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। আমি এই জয়ের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে দিতে চাই। দিল্লির মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির জয়। এটা দিল্লিবাসীর জয়।' এদিকে বাবার জয় নিয়ে পরবেশের মেয়ে বলেন, 'আমরা খুবই খুশি যে নয়াদিল্লি আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে এবং আমাদের আশীর্বাদ দিয়েছে। আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, এবং এখন দিল্লিতে উন্নয়ন ঘটবে।' এদিকে তাঁর মেয়ে সিএম পোস্ট নিয়ে বলেন, 'এখন আগে বিধায়ক হিসেবে জয়ের আনন্দ উদযাপন করব। এরপর দল তাঁকে যে পদ দেবে, সেই পদেই তিনি সন্তুষ্ট থাকবেন।'
এর আগে বিদায়ী স্পিকারকে হারিয়ে ২০১৩ সালে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন পরবেশ। তবে এক বছর পরেই তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড় করানো হয়েছিল। সেই চ্যালেঞ্জেও সফল হয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন পরবেশ। পাঁচ বছর পরে ওই আসন থেকেই ৫.৭৮ লাখ ভোটে জিতেছিলেন। যদিও ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেননি। কারণ বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে নয়াদিল্লি বিধানসভা আসনে টানা তিনবার জিতেছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু চতুর্থবারে সফল হলেন না। বরং দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে ৪৮ বছর পরে নয়াদিল্লি বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্মফুল ফোটালেন পরবেশ। বিজেপি প্রার্থী পরবেশ বর্মার কাছে ৪,০৪৯ ভোটে পরাজিত হন কেজরিওয়াল। ২০১৩ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে শিলা দীক্ষিতকে হারিয়ে লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন কেজরিওয়াল। ২৫,০০০-র বেশি ভোটে কংগ্রেসের 'মুখ'-কে হারিয়ে দিয়েছিলেন। দু'বছর পরে জয়ের মার্জিন আরও বাড়িয়েছিলেন। জিতেছিলেন প্রায় ৩২,০০০ ভোটে। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কেজরিওয়ালের জয়ের মার্জিন ছিল ২১,৬৮৭। সেখান থেকে ২০২৫ সালে হেরে গেলেন কেজরিওয়াল। তাই তাঁকে হারানো পরবেশকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।