ভয়ঙ্কর ঘটনা রেলের কামরার ভিতরে। এবার যাত্রীর ওপর ভেঙে পড়ল ট্রেনের আপার বার্থ। তার ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই যাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে কেরল থেকে নয়া দিল্লিগামী এর্নাকুলাম-হযরত নিজামুদ্দিন মিলেনিয়াম সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে (১২৬৪৫) । নিহত যাত্রীর নাম আলি খান (৬২)। এই ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির অভিযোগ উঠতেই দায় অস্বীকার করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। কী বলছে তারা?
আরও পড়ুন: কেন, কীভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘায় ধাক্কা? দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মালগাড়ির সহকারী চালক
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে আলি খান দিল্লি যাচ্ছিলেন। তিনি ট্রেনের স্লিপার কোচে ভ্রমণ করছিলেন। নিচের সিটে বসে থাকার সময় আচমকা তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে আপার বার্থ। সিট এবং আপার বার্থের যাত্রীর ওজনের কারণে গুরুতর আঘাত পান আলি। তাঁকে এই ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি অস্ত্রোপচারের সময় মারা যান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আলি খান মালাপ্পুরমের পোন্নানির বাসিন্দা। তিনি একজন এলআইসি এজেন্ট ছিলেন। গত ১৫ জুন রাতে বন্ধু মহম্মদের সঙ্গে তিনি ট্রেনে উঠেছিলেন। তারা জলন্ধরে যাচ্ছিলেন। মহম্মদ চেয়েছিলেন আলিকে তাঁর যাত্রার সঙ্গী করতে। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল পাঞ্জাবে যাওয়ার আগে দিল্লি এবং আগ্রা সফর করা। আলি খানের পরিবারের এক সদস্য জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জুন সন্ধ্যায়। তিনি নিচের সিটে ছিলেন। তেলেঙ্গানার ভিতর দিয়ে ট্রেনটি যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় সহযাত্রীরা বিষয়টি টিটিইকে জানান। তখন ওয়ারঙ্গল স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে আলিকে হায়দরাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, অভিযোগ ওঠে যে ট্রেন থামানো হয় দুর্ঘটনার প্রায় ১০০ কিলোমিটার পরে।
ইতিমধ্যেই রেল পুলিশ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। তবে ঘটনার বেশ কয়েক দিন পর সিট ভেঙে পড়ার ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে রেল। মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানান, যাত্রী এস/৬ কোচের ৫৭ নম্বর সিটে ছিলেন। উপরের বার্থে যে যাত্রী ছিলেন তিনি ঠিকমতো বার্থটিকে চেইনের সঙ্গে আটকাতে পারেননি। তাই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সিটি ভেঙে পড়েনি। ঠিক করে আটকানো হয়নি বলে খুলে পড়েছিল।
তবে এমন ঘটনায় ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই লোয়ার বার্থে যাত্রা করার সময়ে আতঙ্কে ভুগছেন।