মঙ্গলবার থেকে সীমিতভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু হতে চলেছে। সেই ট্রেনগুলিতে শুধুমাত্র এসি কামরা থাকবে। রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ভাড়া কাঠামো হবে। রেলের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
ভারতীয় রেলের ইতিহাসে এই প্রথমবার টানা ছ'সপ্তাহ যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা বন্ধ থাকার পর প্রাথমিকভাবে ১৫ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। কোনও ট্রেনেই স্লিপার কোচ থাকবে না বলে জানিয়েছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁরা জানান, ট্রেনে এসি ১, এসি ২ এবং এসি ৩ ক্লাস থাকবে। এসি ১ এবং এসি ২-তে সাধারণত যাত্রী সংখ্যা যত থাকে, এখনও তাই থাকবে। এসি ৩ ক্লাসে দুটি বার্থের মতো দূরত্ব তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে সেখানে বার্থ বিন্যাস করা হবে বলে জানিয়েছেন এক রেল কর্তা।
তবে ওই ১৫ জোড়া ট্রেনের যাত্রীদের কম্বল এবং চাদর নাও দেওয়া হতে পারে। ওই রেল কর্তা বলেন, ‘এই সতর্কতাগুলি নিতে হবে, যেরকম আমরা লকডাউনের আগে রেল পরিষেবা স্থগিতের প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়েছিলাম। কোচের মধ্যে এসি চালানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ নিয়ম থাকবে। তাপমাত্রা কিছুটা বেশি রাখা হবে এবং কোচের মধ্যে সর্বাধিক মুক্ত বায়ুর চলাচল নিশ্চিত করা হবে।’ সেই ট্রেনগুলিতে ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিকদের উঠতে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা রয়েছে।
রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে যাঁরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়েছে। সেজন্য যাত্রাপথের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে দাঁড়াবে ট্রেনগুলি। এক রেল আধিকারিক বলেন, ‘এটা (ট্রেন পরিষেবা) তাঁদের জন্য, যাঁদের কাজে ফিরতে হবে এবং লকডাউনের শুরু থেকে আটকে আছেন। তাঁদের যাতায়াত নিশ্চিত করা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে এবং ধাপে ধাপে আরও ট্রেন চালু হবে। (তারপর) নিয়মিতভাবে (শুরু হবে)।’
রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ জোড়া ট্রেন চললেও ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনের পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত হবে না। বরং শ্রমিকদের বিশেষ ট্রেন এবং করোনা কেন্দ্রের জন্য ২০,০০০ কোচ বরাদ্দের পর যত কোচ পড়ে থাকবে, তার ভিত্তিতে নয়া রুটে ট্রেন পরিষেবা শুরু করবে রেল।