ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ডুবিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩ জনের। সোমবার সকালে ঢাকার শ্যামবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। একটি ছোট লঞ্চকে ধাক্কা মারে একটি বড় লঞ্চ। সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায় ছোট লঞ্চটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চটিতে ৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
সে দেশের পরিবহন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, মুন্সিরগঞ্জ থেকে ঢাকার সদরঘাটে আসছিল এমভি মর্নিং বার্ড নামে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চটি। শ্যামবাজারের কাছে চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূরী ২ লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় ছোট লঞ্চটি। লঞ্চের কিছু যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও অনেকেরই সলিল সমাধি ঘটে। এখনো কতজন নিখোঁজ তা জানাতে পারেনি সেদেশের উদ্ধারকারীরা।

দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজে নামে বাংলাদেশের অসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করা হয় দেহগুলি। উদ্ধার করা দেহের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ৬ জন মহিলা ও ৩টি শিশুর দেহ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ৯.৩০ নাগাদ ময়ূরী ২ লঞ্চটি সদরঘাটে বাঁধার সময় পিছন দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় ছোট লঞ্চটির সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে।
বাংলাদেশের জলপথ বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত লঞ্চটিকে দুর্ঘটনাস্থলে কাছেই নদীর তলদেশে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে কোনো দেহ আটকে রয়েছে কিনা তা জানতে ডুবুরি নামানো হবে।