নয়া বিতর্কে জড়িয়ে গেল যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি। এবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা দাঁত মাজার পাউডারে আমিষ পদার্থ ব্যবহার করে, যদিও এটা নিরামিষ প্রোডাক্ট বলে চিহ্নিত। এই অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সাশা জৈন নামের এক আইনজীবী।
গত কয়েক বছর ধরেই তুঙ্গে পতঞ্জলির জনপ্রিয়তা। মূলত ভেষজ পণ্য বিক্রি করার জন্যই জনমানসের মধ্যে ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয় এই নয়া ব্র্যান্ড। কিন্তু হাল আমলে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে যে সংস্থার বিজ্ঞাপনগুলি সর্বদা সঠিক তথ্য প্রকাশ করে না। এবার ফের বিতর্কে জড়াল পতঞ্জলি। আইনজীবীর মতে দিব্য দন্ত মঞ্জন-এই প্রোডাক্টটির মধ্যে সমুদ্র ফেন রয়েছে, যদিও এটার প্যাকেজিং করা হয়েছে ভেষজ পণ্য হিসেবে। এটি ক্রেতাস্বার্থকে বিঘ্নিত করে ও জৈন সহ যারা নিরামিষ খান তাদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক বলেও অভিযোগ করেছেন সাশা জৈন।
সাশার দাবি পতঞ্জলি যেসব দ্রব্যসামগ্রী দিয়ে এই দাঁতের মাজন বানিয়েছে তারমধ্যেই সমুদ্র ফেনের উল্লেখ আছে। এই সমুদ্রফেন অর্থাৎ ইংরেজিতে যেটাকে common cuttlefish বলা হয় সেটা হল একটি সামুদ্রিক প্রাণীবিশেষ। মূলত আটটি শুঁড় ও দুটি ল্যাজ বিশিষ্ট এই প্রাণীটি। আইনজীবীর এই টুইটটি রীতিমত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনেকেই পতঞ্জলিকে ট্যাগ করে সত্যিটা জানতে চাইছেন। ১৫ দিনের মধ্যে পতঞ্জলিকে আইনি নোটিশের উত্তর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সাশা জৈন।
গত নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদিক দফতর পতঞ্জলির দিব্য ফার্মাসিকে পাঁচটি ওষুধ উৎপাদন করতে মানা করেছিল। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়। কেরালার এক চোখের চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে দিব্য ফার্মাসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই চিকিৎসক বলেছিলেন যে পতঞ্জলি তাদের বিজ্ঞাপনে বলছে যে গ্লুকোমা, ক্যাটারাক্ট ও অন্যান্য চোখের অসুখ সব সারিয়ে দেবে। কিন্তু এই সব দাবি ভুল ও কেউ সরল মনে এগুলি ব্যবহার করলে দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারাতে পারেন বলেই চিকিৎসক দাবি করেন। পতঞ্জলি যদিও সবসময়ই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষার পরেই তাদের পণ্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তাই ক্রেতাদের মনে কোনও প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়। দাঁত মাজার প্রোডাক্টে সামুদ্রিক প্রাণী থাকার অভিযোগ নিয়ে সংস্থা কী বলে, সেটাই দেখার।