পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ ডেয়ারির প্রধান সুনীল বনসলের মৃত্যু। কোভিডের নানা উপসর্গ ছিল তাঁর শরীরে। বছর তিনেক আগে বনশল এই ডেয়ারির দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পতঞ্জলি যোগপীঠের তরফে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। স্বামী রামদেবের মুখপাত্র কে তিজরেওয়ালা টুইট করে জানিয়েছেন, ‘৫৭ বছর বয়সী বনশলের মৃত্যু পতঞ্জলি পরিবারের কাছে বড় ক্ষতি। দুগ্ধ বিপ্লব আনার জন্য স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষণ বনশলকে নিয়োগ করেছিলেন।’ রুরাল ম্য়ানেজমেন্টে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত ছিলেন বনশল। মাদার ডেয়ারি থেকে ওয়াল মার্টের কাজের অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর।
এদিকে কোভিড মোকাবিলায় জীবন পণ লড়াই করছেন চিকিৎসকরা। রোগীকে মৃত্যু মুখ থেকে ফিরিয়েও আনছেন তাঁরা। সেই সংকটের দিনে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নিয়ে সম্প্রতি তির্যক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন রামদেব। তাঁর সেই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় এখনও অব্যাহত। সেই ঝড় থামার আগেই মৃত্যু পতঞ্জলির ডেয়ারি কর্তার। তবে ইতিমধ্যেই অবশ্য রামদেব তাঁর বক্তব্য থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন। এমনকী আইএমএর উত্তরাখণ্ড ইউনিটও রামদেবের মন্তব্যের নিন্দা করেছে। দেশজুড়ে চিকিৎসকদের অনেকেই রামদেবের বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। এমনকী আইএমএর উত্তরাখণ্ড সম্পাদক ডাঃ অজয় খান্না জানিয়েছেন, ‘এপিডেমিক ডিজিজ অ্যাক্টে রামদেবের বিরুদ্ধে সরকার মামলা না করলে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।’ প্রসঙ্গত কোভিড ১৯এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোরোনিল খাওয়ার ব্যাপারে মতামত দিয়েছিলেন রামদেব। তবে সুনীল বনসলকে এই ধরণের আয়ুর্বেদ ওযুধ খাওয়ানো হয়েছিল কি না সেব্যাপারে পতঞ্জলি যোগপীঠের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।