বুধবার ঢোক গিলেছিলেন বাবা রামদেব। এবার কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকের তরফে জানানো হল, শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধ হিসেবে পতঞ্জলির আয়ুর্বেদিক করোনিলকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ চিকিৎসা ব্যবহারের ছাড়পত্র পায়নি করোনিল।
মন্ত্রকের তরফে এক মুখপাত্র সুবিধা কুমার বলেন, 'ওই নির্দিষ্ট ফর্মুলেশনটিকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে আয়ুষ মন্ত্রক, কোভিড-১৯-এর ওষুধ হিসেবে নয়।' তবে করোনিলের ফর্মেশন নিয়ে কেন্দ্রের কোনও সমস্যা নেই বলেই ধারণা। যেখানে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, কোভিড-১৯ উপশমে সক্ষম করোনিল।
পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড সরকারকে কেন্দ্রের তরফে সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, করোনালিকে যেন করোনার উপশমকারী হিসেবে ব্য়বহার করা না হয়। তবে প্রাথমিকভাবে করোনিলকে যে করোনা নিরাময়কারী ওষুধ হিসেবে দাবি করেছিল পতঞ্জলি (কেন্দ্র তথ্য চাওয়ার পর অবশ্য সেই দাবি থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় পতঞ্জলি), তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়নি কেন্দ্র।
আয়ুষ মন্ত্রকের মন্তব্যের আগে বুধবার হরিদ্বারে বাবা রামদেব দাবি করেন, কেন্দ্রের সঙ্গে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। সারা দেশে ‘কোভিড-১৯ ম্য়ানেজমেন্ট ড্রাগ’ হিসেবে সেই করোনিল মিলবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি নিজের মুখ বাঁচাতে জাতীয়তাবাদ তাসও খেলেন যোগগুরু। দাবি করেন, ড্রাগ মাফিয়া, বহুজাতিক সংস্থা এবং দেশবিরোধীরা তাঁকে জেলে দেখতে চায়।