পতঞ্জলির ১৪টি পণ্যের লাইসেন্স সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে। এই আবহে সেই সব পণ্যের বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রামদেবের সংস্থার থেকে। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের অন্তত চারটি শহরে পতঞ্জলির দোকানে এখনও দিব্যি বিকোচ্ছে সেই নিষিদ্ধ ১৪টি পণ্য। এই আবহে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি, লখনউ, পটনা এবং দেরাদুনের বিভিন্ন দোকানে এখনও পতঞ্জলির লাইসেন্স চলে যাওয়া এই ১৪টি পণ্য বিকোচ্ছে। মঙ্গলবার এবং বুধবর এই চার শহরের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে এই ১৪টি 'নিষিদ্ধ' পণ্য দেখতে পেয়েছেন হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্টাররা। (আরও পড়ুন: শুধু বকেয়া ডিএ-তে সন্তোষ নয়, সরকারের ওপর সাঁড়াশি চাপ বাড়ালেন সরকারি কর্মীরা)
আরও পড়ুন: বেড়েছে ডিএ, সঙ্গে ১২০ কোটি খরচ করে কয়েক লাখ টাকার 'বোনাস' ঘোষণা এই রাজ্যের
আরও পড়ুন: হবে বড় ঘোষণা, ডিএ-র দাবি না মানলেও নয়া ছকে কর্মীদের মন খুশি করার ছক সরকারের
এর আগ গত মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, গত এপ্রিলে উত্তরাখণ্ড সরকারের লাইসেন্সিং বিভাগ পতঞ্জলির যে ১৪টি পণ্য উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম, সমাজমাধ্যম-সহ অন্যান্য মাধ্যম থেকে সেগুলির বিজ্ঞাপন মুছে ফেলতে হবে। এদিকে পতঞ্জলি আদালতে দাবি করে যে তারা এর আগেই সব স্টোর মালিককে এই ১৪টি পণ্য বিক্রি বন্ধের কথা বলেছে এবং বিজ্ঞাপন প্রদানকারী সংস্থাকে সেই ১৪টি পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে বারণ করেছে। তবে আসলে দেখা গেল, সেই সব কিছুই হয়নি। দেশের বড় বড় শহরে এখনও দিব্যি বিকোচ্ছে পতঞ্জলির লাইসেন্স খোয়ানো এই ১৪টি পণ্য। (আরও পড়ুন: 'NEET প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি', এত কিছুর পর আদালতে দাবি NTA-র, দোহাই ভাইরাল ভিডিয়োর)
আরও পড়ুন: ডিএ-বেতনের দাবিতে অনড় সরকারি কর্মীরা, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সাজানো হল 'চক্রব্যূহ'
আরও পড়ুন: জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকা উচিত, গৃহবধূকে দিতে হবে ATM কার্ডও, বড় পর্যবেক্ষণ SC-র
এদিকে উত্তরাখণ্ড সরকার একটি হলফনামা পেশ করে আদালতে জানায়, বিধিগত সমস্যার কারণে পতঞ্জলির সেই ১৪টি পণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল রাজ্য সরকারের অন্য একটি দফতর। তবে ফের সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই নিয়ে ৮ জুলাই পতঞ্জলিকে শোকজ নোটিশও পঠানো হয়েছে। এদিকে পতঞ্জলির আইনজীবী দাবি করেন, তাঁরা এমন কোনও নোটিশ পাননি। এই আবহে তাঁরা জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলবেন তাঁরা। আর সেই ১৪টি পণ্য বিক্রি বন্ধ করা হয়েছে। তবে এইচটি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি, লখনউ, পটনা এবং দেরাদুনের বিভিন্ন দোকানে এখনও পতঞ্জলির এই ১৪টি 'নিষিদ্ধ' পণ্যের বেশ কয়েকটি বিক্রি হচ্ছে। তবে সব দোকনে যে সবকটি পণ্য মিলছে তেমন নয়। যে পণ্যগুলি সংশ্লিষ্ট দোকানে ছিল না, সেখানকার দোকানদাররা দাবি করেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তা তাঁরা আনিয়ে দিতে পারবেন। এই আবহে দেখা যায়, দোকানদাররা সেই সব পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অবগতই নন।
আরও পড়ুন: ৩০ লাখে প্রশ্নপত্র কেনা পরীক্ষার্থীরা কেমন ফল করেছেন NEET-এ? আদালতে জানাল NTA
এদিকে পতঞ্জলির এই ১৪টি পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের ওপর নজর রাখতে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে দায়িত্ব দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চ। আর আদালতে পতঞ্জলি দাবি করে, দেশের ৫,৬০৬টি দোকানকে ওই ১৪টি পণ্য ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, শ্বাসরি গোল্ড, শ্বাসরি বটি, ব্রঙ্কোম, শ্বাসরি প্রবাহী, শক্তিবর্ধক, বিপি গ্রিট, মধুগ্রিট, মধুনাশিনীবটি এক্সট্রা পাওয়ার, লিভামৃত অ্যাডভান্স, লিভোগ্রিট, আইগ্রিট গোল্ড, পতঞ্জলি দৃষ্টি আই ড্রপ নামক পণ্যগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্যে।