মাথায় চলছে জটিল অস্ত্রোপচার। জানেন না, অস্ত্রোপচার শেষে ভায়োলিনে আর সুরের মূর্চ্ছা তুলতে পারবেন কিনা। তাই নিজের মধ্যে সঙ্গীতকে বাঁচিয়ে রাখতে অস্ত্রোপচারের টেবিলে শুয়ে নিজের প্রিয় যন্ত্র বাজালেন বছর ৫৩-র ড্যাগমার টার্নার। ঘটনাটি লন্ডনের।
প্রাক্তন ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট ড্যাগমার উইট দ্বীপে থাকেন। মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ায় অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন কিংস কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তবে তাঁদের একটাই চিন্তা ছিল, টিউমারটি যেখানে হয়েছিল, সেটার কাছের একটি জায়গা থেকেই ড্যাগমারের বাঁ-হাতের নড়াচাড়া নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই আর ভায়োলিন বাজাতে পারবেন তো ড্যাগমার?
দশ-বিশ বছর নয়, ৪০ বছর ধরে ভায়োলিন বাজিয়ে আসছেন তিনি। সেই ভালোবাসার যন্ত্র বাজানোর ক্ষমতা চিরকালের মতো হারাতে পারেন বলে আশঙ্কা করেছিলেন চিকিৎসকরা।
তাই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন, টিউমার বের করার সময়েও তাঁকে ভায়োলিন বাজাতে দেওয়া হবে। যাতে ভায়োলিন বাজানোর দক্ষতায় কোনওরকম প্রভাব না পড়ে। সেইমতো অস্ত্রোপচার হয়। আর ড্যাগম্যার ভায়োলিন বাজান। এক চিকিৎসক কেউইমারস আশকান জানান, এই প্রথমবার অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর কোনও রোগী বাদ্যযন্ত্র বাজালেন।ড্যাগম্যারের বাঁ-হাত একেবারে ঠিক আছে।
সেই খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ড্যাগমারও। চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, 'ভায়োলিন আমার প্যাশন। ১০ বছর থেকে ভায়োলিন বাজাচ্ছি। ভায়োলিন বাজাতে না পারার ভাবনাটাই হৃদয় বিদারক ছিল।'