উদ্দেশ্য ছিল একটি পেট্রোল পাম্প ও বাইক এজেন্সি লুঠ করার। সেই লক্ষ্যে ৮ জন দুষ্কৃতি জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। এরপরই শুরু হয়ে যায় দুই পক্ষের গুলির লড়াই। ঘটনা ঘিরে, রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনা বিহারের। সেখানের বারুরাজ পুলিশ স্টেশনের আওতায় থাকা মোতিপুর-সাহবেগঞ্জ রাজ্যসড়কের সাহমালওয়া এলাকার এই ঘটনায় মোট ১০ জন আহত হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ের জেরে ৪ জন দুষ্কৃতী আহত হয়। এদিকে পুলিশের তরফে ৬ জন এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। এমন রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াইয়ের পর ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মুজাফ্ফরনগরের এসএসপি জয়ন্ত কান্ত জানিয়েছেন, ঘটনার দিন বাইকে ১০ জন দুষ্কৃতী ও একটি বোলেরো গাড়িতে আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী ওই হাইওয়ের ধারে পেট্রোল পাম্পের দিকে আসে। ফুলওয়ারিয়া বাজারের কাছে এক পেট্রোল পাম্প লুঠ করা ছিল তাদের উদ্দেশ্য। সেখানে পুলিশ পৌঁছে যেতেই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসএসপি জয়ন্ত কান্ত জানিয়েছেন, 'ফুলওয়ারিয়ার কাছে তখন চেকিং করছিল জেলা পুলিশের একটি স্পেশ্যাল টিম। তখনই পুলিশের কাছে খবর আসে যে এক ওয়ান্টেড অপরাধী এলাকায় ঘোরাফেরা করছে কোনও লুঠের উদ্দেশে।' এরপর সময় নষ্ট না করেই পদক্ষেপ করে পুলিশ। জানা যায়, পুলিশের গাড়ি দেখেই বোলেরো গাড়িটি পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। মুহূর্তে ধাওয়া করতে শুরু করে পুলিশ।
পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের এই গুলির লড়াইয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। প্রায় ৩০ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্রে। দুষ্কৃতীরা গুলি চালালে , পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয় বলে খবর। পুলিশ সূত্রে আরও জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই পেট্রোল পাম্প ও বাইক এজেন্সিতে প্রচুর টাকা এসেছে বলে দুষ্কৃতীদের কাছে খবর পৌঁছে যায়। এরপরই সেখানে তারা লুঠ করার টার্গেট নেয়। গোটা ঘটনায় চুন্নু, ধরমবীর কুমারস নীরজ কুমার, রাহুল কুমার নামে ৪ দুষ্কৃতী আহত হয়েছে বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গ্যাংয়ের দু'জন রাতের অন্ধকারের সুবিধা নিয়ে সেখান থেকে পালায়। গোটা গ্যাংয়ের সঙ্গে আর কে কে যুক্ত রয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।