ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসীদের (বেআইনি বসবাস বা অনুপ্রবেশে অভিযুক্ত) আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরত পাঠানোর সময় যেভাবে 'হাতকড়া পরিয়ে হেনস্থা' করা হচ্ছে, তা দেখে ব্যথিত কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। বুধবার বিষয়টি নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
ডোনাাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসতেই অনুপ্রবেশকারী ও বেআইনিভাবে আমেরিকায় বসবাসকারী বিদেশিদের সেনাবাহিনীর বিমানে চড়িয়ে যাঁর যাঁর দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এর আগেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেল ছবি পোস্ট করে জানানো হয়েছিল, অনুপ্রবেশকারী ও বেআইনিভাবে আমেরিকায় বসবাসকারীদের রীতিমতো চেন দিয়ে বেঁধে সেনাবাহিনীর বিমানে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, ভারতীয় বংশোদ্ভূরাও এমন আচরণের শিকার হচ্ছে। আর, তার প্রেক্ষিতেই বিষয়টি সরব হন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা।
নিজদের এক্স পোস্টে এই প্রসঙ্গে একটি পুরোনো ঘটনা উল্লেখ করেন পবন। ২০১৩ সালে, ইউপিএ জমানায় মার্কিন মুলুকে 'হাতকড়া পরিয়ে এবং পোশাক খুলিয়ে তল্লাশি' করা হয়েছিল তৎকালীন ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগড়েকে।
পবন মনে করান, সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত সরকার। তৎকালীন বিদেশ সচিব সুজাতা সিং এই ঘটনার জন্য সেই সময়ে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্য়ান্সি পাওয়েলের কাছে চরম প্রতিক্রিয়া দেন।
শুধু তাই নয়, লোকসভার তৎকালীন অধ্যক্ষ মীরা কুমার থেকে শুরু করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও সুশীল কুমার শিণ্ডে - ভারতে সফর করতে আসা মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার করেন। এমনকী, মার্কিন দূতাবাসকেও কঠোর ভাষায় সতর্ক করা হয়।
এদিকে, 'অনুপ্রবেশকারী ও বেআইনিভাবে আমেরিকায় বসবাস' করার অভিযোগে যে বহু ভারতীয়কে মার্কিন সেনার বিমানে যে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, সেকথা মঙ্গলবারই স্বীকার করেছে মার্কিন দূতাবাস।
মঙ্গলবার দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের মুখপাত্র জানান, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তাঁর কাছে না থাকলেও, এটা ঘটনা যে - মার্কিন সরকার সীমান্ত ও অভিবাসন সংক্রান্ত আইন কঠোরভাবে পালন করছে। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপেই স্পষ্ট, কোনওভাবেই আমেরিকায় অনুপ্রবেশকারী এবং বেআইনি বসসবাসকারীদের ঠাঁই দেওয়া হবে না।