আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে জম্মু কাশ্মীরে শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি)। ইস্তেহারে জম্মু ও কাশ্মীরকে পুরনো মর্যাদায় ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পিডিপি। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য পুনরায় চালু করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। এছাড়াও, ধর্মীয় স্থানে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দলের সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি।
আরও পড়ুন: ভূস্বর্গের ভোটে কংগ্রেসের জোট-সঙ্গী ন্যাশনাল কনফারেন্স, জম্মু ও কাশ্মীরে আসন বণ্টন নিয়ে চর্চা শুরু
শনিবার শ্রীনগরে পিডিপি সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে দলের প্রবীণ নেতাদের উপস্থিতিতে ইস্তেহার প্রকাশ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীরে অন্যায়ভাবে যেসব সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করা হয়েছে সেগুলি পুনরুদ্ধার করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পিডিপি। জম্মু ও কাশ্মীরকে তার আসল মর্যাদায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ইস্তেহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ৩৭০ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদের অসাংবিধানিক এবং বেআইনি প্রত্যাহার কাশ্মীর সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই অঞ্চলের জনগণ নিজেদের আরও বিচ্ছিন্ন মনে করছেন। তিনি জানান, পিডিপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে আর্থিক উন্নয়ন এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায়।
অনুচ্ছেদ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির উপর জোর দিয়েছে পিডিপি। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে কূটনৈতিক বাণিজ্য সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য ও সামাজিক আসন প্রদানের জন্য নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর সংযোগ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ইস্তেহারে জননিরাপত্তা আইন (পিএসএ), বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) এবং সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (এএফএসপিএ) প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়াও জঙ্গি সন্দেহে জম্মু ও কাশ্মীরের সরকারি কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিরোধিতা করেছে দলটি। সেই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের জমি এবং কর্মসংস্থানের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দলটি বলেছে যে সমস্ত সরকারি চাকরির পাশাপাশি খনির চুক্তিতে স্থানীয়দের প্রথম অধিকার থাকবে।অন্যদিকে, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রত্যাবর্তন এবং পুনর্বাসনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পিডিপি।