ফের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিনের উত্তেজনার পারদ বাড়বে। এখন পর্যন্ত লাদাখ সীমান্তের বেশ কিছু জায়গা থেকে চিন সেনা সরিয়ে নেয়নি। এই বিষয়ে ভারত ইতিমধ্যেই তার কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট জানিয়েছেন, ওই সব ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি আর বেজিংয়ের সঙ্গে কোনও আপসের পথে হাঁটবে না। তাহলে কী আবার সংঘাত বাড়বে? আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিন বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে হবে। ১৯৮৮ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী যখন চিন গিয়েছিলেন, তখন যে চিনের সঙ্গে সমঝোতা তৈরি হয়েছিল, সেই সমঝোতার রাস্তা থেকে চিন ক্রমেই সরে যাচ্ছে। এরপর ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালেও সীমান্ত সংক্রান্ত চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। যার ওপর ভিত্তি করে তিন দশক ধরে শান্তি রয়েছে। তিনি এদিন চিনকে সতর্ক করে দেন, সীমান্তে বেশি সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হলে সীমান্তে শান্তি স্থাপন করা যাবে না। এখন কোভিড–১৯ আবহের মধ্যে এই হুঙ্কার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যদি সীমান্তে শান্তি–শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়, আবার সেনা সংঘর্ষ হয়, সীমান্ত নিয়ে বিবাদ দেখা দেয়, তাহলে তার প্রভাব দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর পড়বে।’ উল্লেখ্য, গত বছর জুন মাসে গলওয়ান সীমান্তে চিনের সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এরপর ফেব্রুয়ারী মাসে প্যাংগং লেক থেকে উভয় দেশই সেনা সরিয়ে নেয়। কিন্তু লাদাখে অন্যান্য সীমান্ত এলাকায় অবশ্য চিনের লালফৌজ মোতায়েন রয়েছে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছে ভারত। একাধিকবার কূটনীতিক স্তরে বৈঠকও হয়। কিন্তু তাতে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।