গতবছর বাদল অধিবেশনের আগে প্রকাশ্যে এসেছিল পেগাসাস ইস্যুটি। তারপরই এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়েগিয়েছিল দেশজুড়ে। সংসদে এই নিয়ে ঝড় তুলেছিলেন বিরোধীরা। মামলা গড়িয়েছিল শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। এরপরই ঘটনা খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্ট একটি টেকনিকাল কমিটি গঠন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। পেগাসাস ‘আক্রান্ত’দের ফোন নিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা ছিল এই প্যানেলর কাজ। প্রাথমিক তদন্তের পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দিল প্যানেল।
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আরভি রভেন্দ্রনের নেতৃত্বে গঠিত প্যানেল আজ আদালতে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দেয়। চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য কমিটিকে আরও সময় দেওয়ার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের গঠিত এই প্যানেলে রয়েছেন গান্ধীনগরের ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির ডিন নবীন কুমার চৌধুরী, কেরলের অমৃতা বিশ্ব বিদ্যাপীঠমের অধ্যাপক প্রবাহারন পি এবং আইআইটি বোম্বের ইনস্টিটিউট চেয়ার অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অশ্বিন অনিল গুমাস্তে।
এদিকে এই মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার হওয়ার কথা ছিল। তবে কেন্দ্রের আর্জিতে সেই শুনানি পিছিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। এদিন কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। সেই আর্জির প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা শুনানি পিছিয়ে দেন এবং সলিসিটর জেনারেলকে নির্দেশ দেন যাতে মামলার সাথে যুক্ত বাকিদের এই শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
পেগাসাস নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল ‘মিলিটারি গ্রেড’ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের ফোন হ্যাক করেছে সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে ফ্রান্স-ভিত্তিক সাংবাদিকদের একটি কনসোর্টিয়াম গত বছর ৫০ হাজার নম্বরের একটি তালিকা ফাঁস করেছিল। দাবি করা হয়েছিল, এই ৫০ হাজার ব্যক্তির উপর এনএসও গ্রুপ নজরদারির চালিয়েছিল তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য। এই আবহে বাজেট অধিবেশনে সংসদে পেগাসাস ইস্যুটি উত্থাপিত হলে আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘সংবাদপ্রতিবেদনগুলি ভারতীয় গণতন্ত্র এবং এর সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে নষ্ট করার চেষ্টা ছাড়া কিছুই ছিল না।’ উল্লেখ্য, যাঁদের ফোনে পেগাসাস ইনস্টল করে নজরদারি চালানো হয়েছিল বলে তালিকায় দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অশ্বিনীরও নাম ছিল।