আব্রাহাম থমাস
জেলা আদালতের তুলনায় দেশের হাই কোর্টগুলিতে ৫০ বছরের বেশি পুরনো সব থেকে বেশি মামলা জমে থাকছে, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। মঙ্গলবার সংসদে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এই মামলার পরিমাণ কমানোর ব্যাপারে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। গোটা ব্যবস্থাটাই বিচার ব্যবস্থার উপর নির্ভর করছে।
সংসদে একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোর্টে যে মামলাগুলি বকেয়া থেকে গিয়েছে সেটি বিচারব্যবস্থার উপর নির্ভর করেছে। এব্যাপারে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। এদিকে বকেয়া মামলাগুলির সংখ্য়াও উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে এমন মামলাগুলি সংখ্যা সিভিল ও ক্রিমিনাল মিলিয়ে ১৫১৪টি। ১০টি হাইকোর্ট মিলিয়ে এই সংখ্যাটার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। অন্যদিকে জেলা আদালত ও নিম্ন আদালতে ৫০ বছরের বেশি বছর ধরে ঝুলে রয়েছে এমন মামলার সংখ্যা ১৩৯০টি। ৩১ জানুয়ারি আপডেট করা ন্যাশানাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিড অনুসারে এই মামলার সংখ্যাটি পাওয়া গিয়েছে।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে কলকাতা হাইকোর্টে সবথেকে বেশি মামলা ৫০ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। সেই সংখ্যাটি হল ১১৯২টি। তারপরেই দিল্লি হাইকোর্টের স্থান। সেখানে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা ১৩৩টি। মাদ্রাজ হাইকোর্টে এই সংখ্যাটা হল ১২৯টি। বোম্বে হাইকোর্টে এই সংখ্য়াটা হল ৪৩। অন্যদিকে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে পেন্ডিং থাকা মামলা দেশের অন্য়ান্য হাইকোর্ট যেমন পাটনা, গুয়াহাটি, পঞ্জাবে হরিয়ানা, ওড়িশা, কেরল, উত্তরাখণ্ডে সংখ্য়াটা অত্যন্ত কম।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে ৫০ বছরের বেশি পুরনো মামলা একটিও নেই। তবে দেশের শীর্ষ আদালতে ৮১টি মামলা রয়েছে যেগুলি ২৫ বছরের বেশি পুরানো।
এদিকে অপর একটি প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে মাঝেমধ্যে টানা ছুটি থাকে। আদালতের কর্মদিবস, ও কার্যকালের ঘণ্টা বৃদ্ধি করা যায় কি না সেব্যাপারে বলা হয়েছিল। তবে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, কার্যকালের সময়, কার্যকালের দিন, ছুটি সবটাই সংশ্লিষ্ট আদালতের উপর নির্ভর করছে।
এদিকে আদালতের কার্যকালের দিন সম্পর্কে জানানোর সময় উল্লেখ করা হয়েছে সাধারণত সুপ্রিম কোর্ট সারা বছরের ২২২দিন কাজ করে। তবে সুপ্রিম কোর্টে কাজের দিন সংখ্যা বৃদ্ধি করা বা কাজের সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনও প্রস্তাব নেই।