অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের গত বছর ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা’ শুরু করেছে কেন্দ্র। সেই পেনশন প্রকল্পের আওতায় ৬০ বছরের পর মাসিক কমপক্ষে ৩,০০০ টাকা পাওয়া যাবে।
যোগ্যতা
১) অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত।
২) মাসিক আয় ১৫,০০০ টাকা বা তার কম হতে হবে।
৩) বয়স ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে।
৪) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহিলা আয়কর দেন না।
৫) জাতীয় পেনশন প্রকল্প, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্প বা এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্প স্কিমের মতো কোনও প্রকল্পের আওতায় থাকা যাবে না।
বৈশিষ্ট্য
‘প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মানধন যোজনা’ হল স্বেচ্ছাকৃত পেনশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় নির্দিষ্ট বয়সের ভিত্তিতে কত টাকা দিতে হবে, তা ঠিক করা হয়। সেই অর্থের ৫০ শতাংশ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তাকে। বাকি ৫০ শতাংশ বহন করবে কেন্দ্র সরকার।
এই প্রকল্পের আওতায় উপভোক্তার বয়স ৬০ হলেই মাসিক কমপক্ষে ৩,০০০ টাকা মিলবে। তার আগেই উপভোক্তার মৃত্যু হলে ওই ব্যক্তি বা মহিলার সঙ্গী সেই মাসিক পেনশন পাবেন।
কীভাবে নথিভুক্ত হবেন ?
যোগ্যতামান থাকা উপভোক্তাদের নিজেদের নিকটবর্তী ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’-এ যেতে হবে। ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’-এর তালিকা এলআইসিতে পাওয়া যাবে। পেনশন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য একটি সেভিংস বা জনধন অ্যাকাউন্ট এবং আধার কার্ডের প্রয়োজন হবে। দেশের তিন লাখের বেশি ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’-এ সেই পরিষেবা প্রদান করা হয়।
কীভাবে প্রকল্প ছাড়বেন?
১) প্রকল্পের আওতায় আসার ১০ বছরের কম সময়ে যদি উপভোক্তা তা বন্ধ করতে চান, তাহলে শুধুমাত্র তাঁর প্রদেয় অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সঙ্গে সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ মিলবে।
২) যদি কোনও উপভোক্তা ১০ বছর পর এবং ৬০ বছর হওয়ার আগে সেই প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসতে চান, তাহলে তাঁর প্রদেয় অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে মোট যে পরিমাণ অর্থ জমা পড়েছে, তার সুদ বা সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের মধ্যে যেটি বেশি হবে, সেই টাকাও পাবেন উপভোক্তা।
কীভাবে কাজ করে?
১৮ বছরে কোনও কর্মী যদি সেই প্রকল্পে যুূক্ত হন, তাহলে মাসিক ৫৫ টাকা দিতে হবে। একই পরিমাণ অর্থ দেবে কেন্দ্র। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অর্থের পরিমাণ বাড়বে। প্রথমবার নগদে টাকা জমা দিতে হবে। সেজন্য একটি রসিদ পাবেন উপভোক্তারা। যাঁরা এই প্রকল্পে নথিভুক্ত হবেন, তাঁদের একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হবে।