বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Pentagon on Indian Army: ‘আমেরিকা চায়…’, ভারতীয় সেনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা পেন্টাগনের

Pentagon on Indian Army: ‘আমেরিকা চায়…’, ভারতীয় সেনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা পেন্টাগনের

ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় আমেরিকা, বার্তা পেন্টাগনের (ADG PI - INDIAN ARMY Twitter)

বিগত কয়েক বছরেই ভারত হয়ে উঠেছে 'ওয়াশিংটন'-এর বন্ধু। তা সে হোয়াই হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পই থাকুন, কি জো বাইডেন... ১৯৯৭ সালে যেখানে ভারত-মার্কিন সামরিক চুক্তির মূল্য ছিল নগন্য, সেখানে এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। 

১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় ইসলামাবাদকে সমর্থন জানিয়েছিল আমেরিকা। বিগত শতাব্দীর শেষ লগ্নে ভারতীয় পরমাণু বোমা পরীক্ষার পর ই আমেরিকাই আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দিল্লির ওপর। তবে বিগত কয়েক বছরে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে এসেছে আমূল পরিবর্তন। পাকিস্তানের সঙ্গে এখনও 'সুসম্পর্ক' বজায় রেখেছে আমেরিকা। তবে এই কয়েক বছরেই ভারত হয়ে উঠেছে 'ওয়াশিংটন'-এর বন্ধু। তা সে হোয়াই হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পই থাকুন, কি জো বাইডেন... ভারতকে কাছে নিয়েই চলতে চায় আমেরিকা। আর সেই কথাটাই আরও একবার স্পষ্ট করে দিল পেন্টাগন। এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের তরফে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে বলা হয়, 'ভারতের সঙ্গে নিজেদের অংশীদারিত্ব উপভোগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমরা ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও ভালো এবং গভীর করতে চাই। এবং এর জন্য আগামীতেও আমাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।' (আরও পড়ুন: 'সফল কাশ্মীর নীতি, তবে হারিয়েছে ভারত-বোধ', বড় মন্তব্য প্রাক্তন RAW প্রধানের)

উল্লেখ্য, কোয়াড গঠনের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমেরিকার অংশীদারিত্ব বেড়েছে। যৌথ নৌবাহিনী মহড় হোক কি সেনার যুদ্ধ অনুশীলন, বারংবার ভারতের সঙ্গে নিজেদের 'বন্ধুত্ব' জাহির করে চিনকে বার্তা দিতে চেয়েছে আমেরিকা। বর্তমানে রাশিয়ার পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও 'অলিখিত দ্বন্দ্ব' চলছে আমেরিকার। দক্ষিণ চিন সাগরে তাইওয়ানকে নিয়ে উত্তেজনা হোক কি মার্কিন আকাশসীমায় চিনা 'গুপ্তচর বেলুন'-এর আবির্ভাব। বারবার ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের সম্পর্কে চিড় ধরেছে। এদিকে গালওয়ান পরবর্তী সময়ে ভারত-চিন সম্পর্কও গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। এই আবহে 'শত্রুর শত্রু নিজের বন্ধু' নীতিকে বেশ গুরুত্বই দিচ্ছে আমেরিকা। এই করাণেই হয়ত, ভারত সরাসরি রাশিয়ার বিরোধ না করলেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না আমেরিকা। রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে প্রাথমিক আপত্তি জানালেও অবশেষে তারা বলেছে যে এতে তাদের কোনও 'অসুবিধা নেই'। আর এরই মধ্যে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে পেন্টাগনের মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

পেন্টাগন প্রেস সচিব এয়ার ফোর্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার সাংবাদিকদের বলেন, 'ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায় আমেরিকা।' তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, রাশিয়া ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ভারত ভোট না করার বিষয়ে সেদেশের আইনপ্রণেতারা বারংবার ভারতের সমালোচনা করেছে। এদিকে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কিনছে ভারত। তা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে আমেরিকার। তবে এই আবহে আমেরিকাও সামরিক ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করতে এগিয়ে এসেছে। ১৯৯৭ সালে যেখানে ভারত-মার্কিন সামরিক চুক্তির মূল্য ছিল নগন্য, সেখানে এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এদিকে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভালো হলেও রাশিয়ার হাত ছাড়েনি ভারত। দিল্লি অন্য কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে স্বতন্ত্র নীতিতে হাঁটছে। তবে মূলত চিন ইস্যুতে ভারত ও আমেরিকা একই স্থানে দাঁড়িয়ে। এই চিন ইস্যুই দুই দেশের সামরিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পেন্টাগনের তরফে আসা 'ইতিবাচক' মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশ্লেষদের।

বন্ধ করুন