‘আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অপজেক্ট’ বা ইউএফও নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহলের কোনও শেষ নেই। ভীনগ্রহে কি আদৌ কোনও প্রাণী আছে? তারা কি মাঝে মাঝে আমাদের পৃথিবীতে আসে? সেই তথ্য কি সরকার আম জনতা থেকে লুকিয়ে রাখতে চায়? এমন হরেক প্রশ্ন বিগত এক শতকেরও বেশি সময় ধরে মানুষের মনে আলোড়ন তৈরি করে। এই আবহে বিগত অর্ধ শতকে এই প্রথমবার ইউএফও নিয়ে জনসমক্ষে কংগ্রেসের শুনানি হল আমেরিকায়। এবং সেই শুনানিতে পেন্টাগনের পেশ করা রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি কার হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিগত ২০ বছরে অনেক বেশি সংখ্যক ইউএফও দেখা গিয়েছে আগের তুলনায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে সামরিক ঘাঁটি বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপর বেশি সংখ্য ইউএফও দেখা গিয়েছে। তবে এতে ভীনগ্রহীদের কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই সংক্রান্ত প্রমাণ নেই। শত্রুপক্ষের ড্রোনও হতে পারে এই ইউএফওগুলি। নেভাল ইন্টেলিজেন্সের ডেপুটি ডিরেক্টর স্কট ব্রে এই বিষয়ে বলেন, এই ইউএফওগুলি ঠিক কী, তা নিয়ে আমরা কোনও অনুমান লাগাইনি। উল্লেখ্য, ইউএফও দেখার ঘটনাগুলো তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ব্রেকে। তাঁর সঙ্গে আরও এক কর্তা এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি এই শুনানিতে অংশ নেন।
এদিকে ২০২১ সালের জুন মাসে মার্কিন ইন্টেলিজেন্সের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে ভীনগ্রহীদের অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ মেলেনি। আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও দর্শনকে ঘিরে বহু দশকের যে গোপনীয়তা রয়েছে। তার সঙ্গে মানুষের কল্পনা শক্তিও এই বিষয়ে ইন্ধন জুগিয়েছে বহুক্ষেত্রে। এই আবহে মার্কিন সামরিক রিপোর্টে ধোঁয়াশা বজায় রয়েছে।