গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক ঘটনাক্রম বাংলাদেশে। দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার আগে তিনি ইস্তফা দিয়ে গিয়েছেন। গণভবনে দল বেঁধে ঢুকে হাতের সামনে যা পেয়েছেন সেটাই নিয়ে এসেছে জনতা। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এই হট্টগোলের মধ্য়েই জেলা সংশোধনাগারে ঢুকে পড়ল জনতা। লাঠি বাঁশ নিয়ে তারা জেলের মধ্য়ে ঢুকে পড়ে। এরপর অন্তত ৫০০ বন্দিকে তারা মুক্তি দিয়ে দেন। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি আর প্রধানমন্ত্রীর পদে নেই। কিন্তু তারপরেও কেন শৃঙ্খলাবদ্ধ হচ্ছে না ওই দেশ?
বাংলাদেশের স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিকাল সাড়ে ৪টে থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে এই হামলা চালানো হয়। শেরপুর জেলার ডেপুটি কমিশনার আবদুল্লাহ আল খায়রুন জানিয়েছেন এই কথা। এদিকে জেলের আসবাবপত্রেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ঢাকা ট্রিবিউনের খবর অনুসারে সব মিলিয়ে ৫৯৬জন বন্দি ও আটক হয়ে থাকা ব্যক্তিরা জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছেন সাতক্ষীরা জেল থেকে।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা জেল সূত্রে খবর, প্রচুর মানুষ এসে জেলের তালা ভেঙে ফেলে। এরপর ১০টি সেল থেকে বন্দিদের মুক্তি দিয়ে দেয়। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে অনেকে আবার আত্মসমর্পণ করতেও শুরু করেছে। জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলের সুপার হাসনা জাহান বিথী।
এদিকে এবার আন্দোলনপর্বে শুধু যে বিক্ষোভকারীরা মারা গিয়েছেন তেমনটা নয়, একাধিক পুলিশকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশের প্রধান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
বাংলাদেশের সেই পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এই ধর্মঘট ঘোষণা করেছে। তারা জানিয়েছেন, প্রতি পুলিশের সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
এমনকী প্রতিবাদকারীদের উপর এতদিন পুলিশ যে আচরণ করেছিল তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তারা।
এদিকে বাংলাদেশের আর্মির চিফ জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান ঘোষণা করেছিলেন যে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্য়াগ করেছেন। তারপর থেকে বাংলাদেশে একেবারে অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এদিকে এতদিন বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী স্বাভাবিকভাবেই সরকারি নির্দেশ পালন করে এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অশান্তি প্রশমনে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছিল তারা। তবে এবার শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে হয়তো তাদের প্রতি প্রতিশোধ নেওয়া হতে পারে। সেকারণে তারা অত্য়ন্ত আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিশ যে আচরণ করেছিল তার জন্য ক্ষমা চাইছি। গুলি চালাতে বাধ্য় করা হয়েছিল। আর তাদেরকে কার্যত ভিলেন করে দেওয়া হয়েছে।