গর্ভনিরোধক বা অন্য কোনও জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যবহারের বিরোধী। ১১ সন্তান নিয়ে বড় পরিবার নিউ মেক্সিকোর কোর্টনি রজার্সের। আর সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ক্রোধের মুখে পড়েছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে কোর্টনির প্রায় ২৯ হাজার ফলোয়ার্স। আর মাঝে়মধ্যেই এত বেশি সন্তানের জন্য 'ট্রোলড' হন তিনি। তবে তাতে পাত্তা দিতে নারাজ কোর্টনি।
শুধু অনুন্নত দেশেই জন্মনিরোধক নিয়ে অসচেতনতা আছে বলে ভাবেন অনেকে। কিন্তু বর্তমানে মার্কিন মুলুকেও এটা বড় সমস্যা। জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে চান না অনেকেই। কিন্তু এভাবে চললে যে আগামী প্রজন্ম সংকটে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
দ্য সানকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে কোর্টনি বলেন অনেকেই তাঁকে, তাঁর পরিবারকে খারাপ চোখে দেখেন। 'তাঁরা বড় পরিবার পছন্দ করেন না। দেশে খাদ্য, বাসস্থান কমতে থাকার জন্য আমাদের দায়ী করেন। তবে তাতে আমি বিরক্ত হই না। ওরা আমাদের একেবারেই চেনে না,' বললেন তিনি।
কোর্টনির স্বামী একজন যাজক। ২০০৮ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর একটি করে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বছর ৩৭-এর কোর্টনি। বেশ কয়েকবার মিসক্যারেজও হয়েছে তাঁর। তবে এখনও থামতে নারাজ তিনি। আপাতত ১২ তম সন্তানের মা হওয়ার মুখে কোর্টনি। কোর্টনি নিজেই তাঁর সন্তানদের যত্ন নেন। দ্য সানকে জানিয়েছেন, সন্তানদের হোমস্কুলিং করান তিনি। মার্কিন মুলুকে স্কুলের খরচ বাঁচাতে অনেকেই এটা করেন।
শুধু তাই নয়, খাওয়াদাওয়ার খরচ বাঁচাতে নিজেদের ফার্মেই শাকসবজি ফলান তাঁরা। ১১ সন্তানের বাবা ক্রিস যাজকের কাজে কিছু বেতন পান। কিন্তু তাতে ১৩ জনের পরিবারের খরচ টানা কঠিন। সেই কারণেই আরও টুকটাক পার্ট-টাইম কাজ করেন তিনি। তাঁরা জানালেন, শুধুমাত্র মুদিখানার কেনাকাটাতেই সপ্তাহে ৪০০ থেকে ৫০০ ডলার খরচ হয় তাঁদের। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।কোর্টনির স্বামী জানালেন, তাঁরাও ১০ ভাইবোন। সেটাই চেয়েছিলেন তিনি।