গণেশ পুজোয় তুমুল গোলমাল। গুজরাটে গণেশ পুজোর প্যান্ডেলে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ। সুরাটের গণেশ প্যান্ডেলে পাথর ছোড়ার ঘটনায় ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সৈয়দপুরা থানা এলাকার ওয়ারিয়াওয়ালি লাল গেট এলাকায় তৈরি গণেশ প্যান্ডেলে আচমকাই পাথর ছুঁড়তে শুরু করে কিছু লোকজন। এই ঘটনার পর ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয় এবং রাস্তায় বসে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করে জনতা। প্রাথমিকভাবে এক মুসলিমসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। খবর লাইভ হিন্দুস্তান সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, তিন মুসলিম যুবক একটি অটোরিকশায় এসে গণেশ প্যান্ডেল লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেছিল। পরে স্থানীয় লোকজন ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তাদের জেরা করা হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় যখন হাজার হাজার মানুষ থানা ঘেরাও করে এবং যোগী-যোগী স্লোগান দেয়। কিছু হিন্দু যুবক রাস্তায় বসে জয় শ্রীরাম স্লোগানও দিতে শুরু করে। এই সময় অনেক যানবাহনে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যপক গণ্ডগোল ছড়ায়। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিচার্জ করতে হয়।
জানা গিয়েছে, গণেশ প্যান্ডেলে একবার নয়, দু'বার পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। সিটি পুলিশ কমিশনার অনুপম সিং গেহলট জানিয়েছেন, গণেশ উৎসবস্থলে পাথর ছোড়ার পর পুলিশ নাবালক-সহ অভিযুক্তদের আটক করে। পরে দুই সম্প্রদায়ের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। এ সবগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোকজন যোগী-যোগী স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিক ঘটনার পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন থানা ঘিরে ফেলার পরে, পুলিশ কমিশনার, মেয়র এবং স্থানীয় বিধায়কও জনগণকে শান্ত করতে সেখানে পৌঁছেছিলেন। বিধায়ক কান্তি বালার যখন হিন্দুদের শান্ত করার জন্য ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন উত্তেজিত জনতা যোগী-যোগী স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে গণেশ পুজোর মণ্ডপকে নিশানা করে কেন এভাবে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দাবি করা হচ্ছে একেবারে অটোতে করে পাথর নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপর সেই পাথর ছোঁড়া হতে থাকে। পালটা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও হয়েছে। বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কেন এভাবে গণেশ পুজোর মণ্ডপে পাথর ছোঁড়া হল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।