সারা দেশে প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটা চক্র চলছে। বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের সিন্ডিকেট ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে খারাপ ও বিকৃত করে তুলতে কিছু মানুষ এই কাজ করছে। এদিন এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ২০১৬ সালের প্রাক–বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে কর্নাটক প্রশাসন। সেইসব অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে আলাদা করে মুক্তি দেওয়ার শুনানিতে এই পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, ‘আমরা একাধিক মামলা দেখে বুঝতে পারছি শিক্ষাব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বার্তা দিতে চাইছি, কিভাবে কিছু মানুষ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে।’ কর্নাটক সরকারের পক্ষ থেকে করা মামলার শুনানিতে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি। এখানে একজন অভিযুক্ত শিবকুমারাইয়ার জামিন বাতিল করেছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। আর একজন অভিযুক্ত ওবালারাজুকে মুক্তি দেওয়ার পক্ষে বলা হয়েছিল।
তবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এই দু’জনের আবেদনের প্রেক্ষিতে নোটিস জারি করেছে এবং হাইকোর্ট মুক্তির যে নির্দেশ দিয়েছিল তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। ফলে ওবালারাজু মুক্তি পাচ্ছে না বলেই খবর। এই রায় দিতে গিয়ে মধ্যপ্রেদেশেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা এখানে আলোচনা করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের পর্যবেক্ষণ, ‘আমরা জানি মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম দুর্নীতিতে ঠিক কী হয়েছিল। আর বিহারেও কী হয়েছিল। তাই আমরা নোটিস জারি করছি এবং স্থগিতাদেশ দিচ্ছি।’