অপরিশোধিত তেলের দাম বিশ্ববাজারে পতনের মুখ দেখছে সদ্য। ফলে রাষ্ট্রায়াত্ত তেল সংস্থাগুলির কাছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে রয়েছে তুঙ্গে আলোচনা। এরই মাঝে সদ্য আইসিআরএর এক রিপোর্ট জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্কতাহ ধরে লাগাতার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমার ফলে ভারতে পেট্রোল ও ডিজেলের দামে লিটার প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কমতির জায়গা তৈরি হয়েছে। তবে এই দাম কমার সুযোগ ধরে রাখতে গেলে, শর্তও রয়েছে। সেক্ষেত্রে শর্ত হল, বিশ্ববাজারে দাম যেখানে রয়েছে সেখানে থেকে যেতে হবে অপরিশোধিত তেলের দাম।
সামনেই দেশের একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সামনেই রয়েছে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে ভোটপর্ব। তার আগে আইসিএআরের তরফে এসেছে এই বার্তা। সেপ্টেম্বরে, ভারত আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের গড় দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৭৪ মার্কিন ডলার। শেষবার পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ২ টাকা কমেছে। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে সেবার মার্চে দাম কমেছিল লিটারে ২ টাকা। এটি বাদ দিলে মোটামুটি সেভাবে পেট্রোল ডিজেলের দরে বড় পরিবর্তন দেখা যায়নি এদেশে গত কয়েক মাসে। এক রিপোর্টে আইসিআরএ দাবি করেছে, গত ৭ থেকে ৮ মাস ধরে তেল সংস্থাগুলির ব্যবসায় খরচের তুলনায় আয় বেশি হয়েছে। আর এটি হয়েছে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে কমতির ফলে। বিশ্ব বাজারে যদি এভাবেই অপরিশোধিত তেলের দাম কমতির দিকে থাকে, বা থিতু হয়ে থাকে এই দামে, তাহলে আগামীতে ভারতে পেট্রোল ডিজেলের মতো জ্বালানির দাম কমের দিকে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে কমতির কারণ হিসাবে দুটি দিক উঠে আসছে। একটি হল মন্থর আর্থিক প্রবৃদ্ধি, অন্যটি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ উৎপাদন মাত্রা। দরপতনের জেরে, OPEC+ তার পরিকল্পিত উৎপাদন কমানো দুই মাস স্থগিত করেছে। অপরিশোধিত তেলের দামে কমতি দেশে ফের একবার পেট্রোল ও ডিজেলের দামে কমতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। আইসিআরএর তরফে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং গ্রুপ হেড গিরিশ কুমার কদম বলেন, বিশ্ববাজারে তেল স্থিতিশীল থাকলে দাম ২ থেকে ৩ টাকা কমানো যাবে। আইসিআরএর অনুমান, চলতি মাসে যে তেল সংস্থাগুলির নেট আদায় পেট্রোলের জন্য প্রতি লিটারে ১৫ টাকা এবং ডিজেলের জন্য ১২ টাকা বেশি।