লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে জ্বালানি তেলের দর। সেই দাম এতটাই বেড়েছে যে কলকাতায় এই প্রথম পেট্রলের দর ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বেড়েছে ডিজেলের দামও। তার ফলে একটানা ছ'দিন বাড়ল তেলের দাম। সবমিলিয়ে চলতি মাসে আটদিন দাম বাড়ল।
রবিবার শহরে ইন্ডিয়ান অয়েলের (আইওসিএল) পাম্পে লিটারপিছু পেট্রল বিকোচ্ছে ৯০ টাকা ১ পয়সা দরে। শনিবারের থেকে দাম বেড়েছে ২৮ পয়সা। সেখানে প্রতি লিটারে ৩২ পয়সা বেড়ে মহানগরীতে ডিজেলের দাম হয়েছে ৮২ টাকা ৩৫ পয়সা। কলকাতার পাশাপাশি বাকি মহানগরী, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, নয়ডা, পাটনা, লখনউ, জয়পুর-সহ দেশের প্রায় সর্বত্র জ্বালানি তেলের দামের ছেঁকায় ওষ্ঠাগত হচ্ছেন সাধারণ মানুষরা। মুম্বইয়ে তো লিটারপিছু পেট্রলের দাম সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে গিয়েছে। আপাতত রবিবার মুম্বইয়ে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম পড়ছে ৯৫ টাকা ২১ পয়সা। আর এক লিটার ডিজেল বিকোচ্ছে ৮৬ টাকা ৪ পয়সায়। দিল্লিতে এক লিটার পেট্রল এবং ডিজেলের দাম পড়ছে যথাক্রমে ৮৮ টাকা ৪৪ পয়সা এবং ৭৯ টাকা ৬ পয়সা।
এমনিতে মাসখানেক অপরিবর্তিত থাকার পর গত ৬ জানুয়ারি থেকে উর্ধ্বমুখী হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। কেন্দ্রের দাবি, বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে ঘরোয়া বাজারে দর বাড়ছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, নরেন্দ্র মোদী সরকারের শুল্কনীতির জন্য তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্ব বাজারে যখন দাম কমেছে, তখনও পেট্রল এবং ডিজেলের উপর শুল্ক বাড়িয়েছে মোদী সরকার। তার ফলে আখেরে কোনও লাভ হয়নি আমজনতার। সেই ব্যাখ্যা অবশ্য মানতে রাজি নয় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রকের দাবি, ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছেন বিরোধীরা। বরং রাজ্যগুলির ভ্যাটের দায় চাপানো হয়েছে। সেই ব্যাখ্যায় অবশ্য সন্তুষ্ট নন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, কংগ্রেসের আমলে বিশ্ব বাজারে ব্যারেলপিছু অশোধিত তেলের দাম ১০৮ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন সেই দাম পড়ছে ৬০-৬২ ডলারের মধ্যে। অথচ মনমোহন সিংয়ের জমানার থেকে মোদীর আমলে ঢের বেশি পড়ছে জ্বালানি তেলের দাম।