উত্সবের আবহে পেট্রল এবং ডিজেলের উপর আবগারি শুল্ক কাটছাঁট সবার জন্য উপহার হিসাবে আসেনি। বেশি বিক্রির আশায় দীপাবলির আগে জ্বালানি মজুত করেছিল পেট্রল পাম্পগুলি। তবে হঠাৎ শুল্ক ছাড়ের কারণে পেট্রোলিয়াম ডিলাররা এখন বড়সড় ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
দীপাবলির আগে শুল্ক সমেত বেশি দামে তেল কিনে তা মজুত করেছিল পেট্রল পাম্পগুলি। সাধারণত উত্সবের মরশুমে জ্বালানির চাহিদা বেশি থাকে। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রতিবারের মতো এবারও দীপাবলির আগে বেশিরভাগ পেট্রল পাম্প সর্বোত্তম সীমা পর্যন্ত নিজেদের ট্যাঙ্ক ভর্তি করেছিল। তবে বহু রাজ্যে এক ধাক্কায় পেট্রলের দাম লিটার পিছু ১২ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ডিজেল কমেছে লিটারপিছু ১৭ টাকা করে। এই আবহে ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে পাম্প মালিক ও ডিলাররা।
বৃহস্পতিবার পেট্রল-ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক হ্রাস করে কেন্দ্র। প্রতি লিটার পেট্রলে ৫ টাকা কমানো হয় উৎপাদন শুল্ক। লিটার প্রতি ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক কমানো হয় ১০ টাকা। কেন্দ্রের সেই ঘোষণার পরই বিজেপিশাসিত অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, কর্নাটক, গোয়া, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরখণ্ডেও পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে ভ্যাট কমানো হয়। ওড়িশার বিজু জনতা দলের সরকারও দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, চড়া শুল্কের জেরে গত এক বছরেই প্রতি লিটারে পেট্রলের দাম বাড়ে ২৬ টাকা। গত ১২ মাসে প্রতি লিটারে ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। অতিরিক্ত হারে দাম বাড়তে থাকায় এবছর শুধুমাত্র এপ্রিল-জুলাই মাসেই কেন্দ্রের আয় হয় ১ লক্ষ কোটি টাকা। এই আবহে বহু রাজ্যে একধাক্কায় অনেকটা করে জ্বালানির দাম কমায় স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। তবে এই মূল্য হ্রাসের জেরে মাথায় হাত পাম্প মালিকদের।