এপ্রিল মাসে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির প্রায় এক তৃতীয়াংশ কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে বিধিবদ্ধ অর্থ জমা দেয়নি, জানাল এমপ্লয়িজ প্রভেড্ন্ট ফান্ড অর্ঘানাইজেশন (EPFO)।
করোনা সংক্রমণের জেরে দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে ভাটা পড়েছে সংস্থার আয়ে। সেই কারণে কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে অর্থ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে অসংখ্য সংস্থা। EPFO জানিয়েছে, এ পর্যন্ত মাত্র ৩,২১,৮০০ সংস্থা এই খাতে তাদের এপ্রিল মাসের ধার্য অর্থ জমা দিতে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ, মার্চ মাসের সংখ্যার চেয়ে প্রায় ১,৭৮,০০০ কম। আবার ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেব পরীক্ষা করলে দেখা যাচ্ছে, করোনাহীন ভারতেও নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে ১,৯৯,০০০ কম সংস্থা কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড জমা দিয়েছিল।
হায়দরাবাদের কর্মী নিয়োগ সংস্থা টিএমআই গ্রুপ-এর চেয়ারম্যান মূরলীধরন ত্যাগরাজন জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের কারণে সংস্থাগুলিকে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বোঝা দরকার যে, এই বিপুল সংখ্যক সংস্থা কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণ তাদের আয়ের পরিমাণ শিকেয় উঠেছে।’
সংস্থার দ্বারা টাকা জমা না দেওয়ার পাশাপাশি লকডাউনে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে বিপুল হারে টাকা তোলার প্রবণতা থেকে স্পষ্ট, অতিমারীর জেতরে দেশের অর্থনীতি কী নিদারুণ পরিস্থিতিতে এসে দাঁড়িয়েছে।
EPFO-তে নথিভুক্ত রয়েছে মোট ৬,৫৪,৪২১টি সংস্থা, যারা গত এক বছর যাবৎ কর্মীদের বেতন থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে বাদ দেওয়া অর্থ এবং সংস্থার তরফে কর্মীপিছু বরাদ্দ পিএফ খাতে অর্থ সরাসরি সংগঠনের তহবিলে জমা দিচ্ছে। এ ছাড়া রয়েছে ২,৫৫৭টি সংস্থা অথবা ট্রাস্ট EPFO-র নিয়মাবলী মেনে নিজেরাই কর্মীদের অবসর পরবর্তী তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া সামলায়।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, মে ও জুন মাসের তথ্য সংগঠিত ক্ষেত্রে আরও সমস্যা বিদীর্ণ ছবি দেখাবে এবং কর্মসংস্থানেও অতিমারীর নেতিবাচক প্রভাব আরও বিস্তৃত হবে। সাধারণত প্রতি মাসে প্রভিডেন্ট ফান্ড খাতে সংস্থাগুলির সম্মিলিত অর্থের পরিমাণ ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা হয়।