সম্প্রতি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) ক্ষেত্রে নিয়ম পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র। সেই নিয়ম অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে টাকা জমা দিলে ক্ষেত্রে কর প্রদান করতে হবে। যাঁরা বছরে ২.৫ লাখ টাকার বেশি জমা দেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
সেন্ট্রাল বোর্ড ডিরেক্ট ট্যাক্সেসের (সিবিডিটি) তরফে জানানো হয়েছে, নয়া নিয়ম কার্যকরের জন্য সমস্ত সক্রিয় পিএফ অ্যাকাউন্টকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হবে। পিএফ অ্যাকাউন্টের মধ্যে পৃথক অ্যাকাউন্ট থাকবে। ২০২১ সালের আয়কর নিয়ম (২৫ তম সংশোধনী) অনুযায়ী, করযোগ্য সুদের হিসাবের জন্য দুটি অ্যাকাউন্ট রাখতে হবে। চলতি অর্থবর্ষ (২০২১-২২) এবং পূর্ববর্তী সব অর্থবর্ষের করযোগ্য এবং কর-বহির্ভূত অর্থ প্রদানের জন্য হবে সেই দুটি অ্যাকাউন্ট।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে মিন্ট জানিয়েছিল যে সরকারের হিসাব অনুযায়ী, আপাতত গড়ে ১২৩,০০০ উচ্চ আয়বিশিষ্ট মানুষ বছরে কর-বহির্ভূত টাকা প্রদান করেন। যা ৫০ লাখ টাকার বেশি। এমনিতে নয়া নিয়ম অনুযায়ী, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অ্যাকাউন্টে কত ব্যালেন্স ছিল, চলতি অর্থবর্ষ ও পূর্ববর্তী অর্থবর্ষে কত টাকা প্রদান করা হয়েছে, তা কর-বহির্ভূত পিএফ প্রদানের অ্যাকাউন্টে ধরা হবে। নির্দিষ্ট সীমার ঊর্ধ্বে টাকা প্রদান করা হলে তা করযোগ্য অ্যাকাউন্টে থাকবে। তার উপর যে সুদ প্রদান করা হবে, তাতে ধার্য হবে কর। যে নিয়ম আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
নানগিয়া অ্যান্ড কোম্পানি এলএলপি পার্টনার শৈলেশ কুমার জানিয়েছেন, সিবিডিটি যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তার ফলে অবশেষে কেটেছে ধোঁয়াশা। যা কর প্রদানের নিয়ম চালুর পর তৈরি হয়েছিল। তাঁর মতে, নয়া নির্দেশিকার ফলে কত টাকা কর প্রদান করতে হবে, তার হিসাবের প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। যে পিএফ অ্যাকাউন্টে নিয়োগকারীরা টাকা দেন, সেই অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চসীমা হল ২.৫ লাখ টাকা। যে পিএফ অ্যাকাউন্টে নিয়োগকারীদের ভাগের অর্থ জমা পড়ে না, সেক্ষেত্র সর্বোচ্চসীমা পাঁচ লাখ টাকায় বেঁধে রাখা হয়েছে।