হালে উত্তর প্রদেশে হওয়া সিএএ বিরোধী হিংসাত্মক প্রতিবাদের সঙ্গে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-এর আর্থিক যোগ খুঁজে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ডিসেম্বরে সিএএ পাশ হওয়ার পর উত্তর প্রদেশে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১২০ কোটি টাকা হয়েছে। অভিযোগ যে PFI -এর বিভিন্ন শাখা এই টাকা ব্যবহার করেছে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ আয়োজন করার জন্য। ইতিমধ্যেই ইডি নিজেদের তদন্তের সারাংশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে শেয়ার করেছে।PFI নাটের গুরু, এই সন্দেহে তাদেরকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
২০১৮ সাল থেকেই PFI-এর বিরুদ্ধে আর্থিক অসঙ্গতির মামলার তদন্ত করছে ইডি।ইডির একটি অস্বাক্ষরিত নোট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে বিপুল অর্থ PFI দিয়েছে কপিল সিব্বাল, দুষ্মন্ত দাভে ও ইন্দিরা জয়সিংকে।
তবে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই তিন আইনজীবী।
কপিল সিব্বালের অভিযোগ যে তাঁর বদনাম করার জন্যেই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। দুষ্মন্ত দাভে বলেন যে হাদিয়া মামলায় তিনি উকিল ছিলেন। কিন্তু সিএএ বিরোধী প্রতিবাদের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলেই দাভের দাবি। দাভে জানান লাভ জিহাদ মামলায় তিনি, কপিল সিব্বাল, ইন্দিরা জয়সিং ও মারজুক বাফাকি উকিল ছিলেন হাদিয়ার।
ইন্দিরা জয়সিং বলেছেন যে তিনি পিএফআইয়ের থেকে টাকা পেয়েছেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদের বিষয় তিনি কোনও অর্থ পাননি বলেই তাঁর দাবি।
পিএফআইকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিমির উত্তরসূরী হিসাবে মনে করে। পিএফআই মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা পায় বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ডসিয়ারে দাবি করা হয়েছে।
তবে ইডির সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে পিএফআই সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আলি জিন্নাহ। ৭৩ ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকার হাত বদল হয়েছে এই অভিযোগে পিএফআই বলেছে তারা আইন অনুযায়ী কাজ করেছেন। সিএএ প্রতিবাদের আগে টাকা হাতবদলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও তাঁর দাবি।
হাদিয়া মামলায় উকিলদের টাকা দেওয়া হলেও সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই বলেও পিএফআইয়ের দাবি। একই সঙ্গে সংগঠনের কোনও কাশ্মীর শাখা নেই বলেই জিন্নাহর দাবি। সংস্থাকে বদনাম করার জন্যই ইডি এই অভিযোগ করছে বলে তাঁর দাবি।