দ্রুত আরও একটি করোনা ভাইরাস টিকার প্রয়োগ শুরু হতে চলেছে ভারতে। ভারতে ছাড়পত্র পাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে মার্কিন সংস্থা ফাইজারের টিকা। সংস্থার প্রধান অ্যালবার্ট বোরলা এই বিষয়ে জানান, ভারতে জরুরি ভিত্তিতে তাদের তৈরি টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। তাঁর আশা, কেন্দ্রের সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হতে চলেছে দ্রুত। উল্লেখ্য, জার্মানির বায়োএনটেক সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে করোনার টিকা তৈরি করেছে ফাইজার।
গবেষণায় দেখা দিয়েছে ফাইজারের তৈরি করোনা টিকা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ কার্যকর। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার পর এই দাবি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১২ বছরের ঊর্ধ্বের সকলকে ফাইজারের টিকা দেওয়ার ছাড়াপত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফাইজারকে কেন্দ্রের তরফে আইনি সুরক্ষাকবচ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া কয়েকদিন আগেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু দেশে ছাড়পত্র পেয়েছে এবং হু–র তালিকায় রয়েছে এমন সংস্থার টিকার এ দেশে আর ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই। ট্রায়াল ছাড়াই এখানকার মানুষের উপর সেই টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পাবে সেই সংস্থাগুলি। এই ঘোষণার পর ফাইজারের অনুমোদন পাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলে ধরে নেওয়া হয়।
এদিকে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন থেকে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডির প্রভাব মানুষের মধ্যে কম। যদিও ফাইজার-বায়োএনটেক দাবি করেছিল, ভারতে যে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছিল তার ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন অনেকাংশেই কার্যকরী। কিন্তু গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ডেলটা ভ্যারিয়েনটের ক্ষেত্রে মাত্র ৩২ শতাংশ কাজ করছে আমেরিকা ও জার্মানির এই সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন। তবে ল্যানসেটের দাবি, করোনার আসল স্ট্রেনে ফাইজার থেকে তৈরি হওয়া ভ্যাকসিনের প্রভাব ৭৯ শতাংশ। কিন্তু আলফা ভ্যারিয়েনটের ক্ষেত্রে তা মাত্র ৫০ শতাংশ। ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে সেটা আরও কমে ৩২ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং বিটা ভ্যারিয়েন্টে সেটার কার্যকরিতা মাত্র ২৫ শতাংশ।