আমেরিকার পাশাপাশি বিশ্বের আরও ৯৫টি দেশে উত্পাদন হবে ফাইজারের তৈরি করা করোনার ওষুধ। গরিব দেশগুলির কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। শুধু তাই নয়, 'গরিব' দেশগুলিতে 'প্যাক্সলোভিড' নামক ওষুধটি সস্তায় বিক্রি করতে দেবে ফাইজার। বিশ্বের ৫৩ শতাংশ মানুষ এতে উপকৃত হবেন বলে দাবি ফাইজারের।
ফাইজারের তরফে দাবি করা হয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যে রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক, সেরম কেউ তাদের তৈরি ওষুধ খেলে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৮৯ শতাংশ কমে যেতে পারে। প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেটে কোভিড আক্রান্ত মানুষের হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনাও কমে যায়। ওষুধটিকে ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি দিয়েছে আমেরিকার বহু গবেষক।
এদিকে ফাইজারের ৯৫টি দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ব্রাজিল, চিন, আর্জেন্টিনার মতো দেশ। রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, সাব-সাহারার আফ্রিকান দেশগুলি। মূলত প্যাক্সলোভিড ট্যাবলেটের জেনেরিক সংস্করণ এই সব দেশে তৈরি করা হবে। যা কম দামে বিক্রি করা হবে এই দেশগুলিতে। ৯৫টি দেশের মধ্যে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ওষুধটি বিক্রিতে রয়্যালটি নেবে না ফাইজার। সেক্ষেত্রে ভারত বা বাংলাদেশের মতো দেশগুলিতে বেশ কম দামে ওষুধটি মিলতে পারে।
ফাইজারে দাবি, এফডিএ ও আন্তর্জাতিক রেগুলেটরি সংস্থার কাছে আবেদন, দ্রুত আমাদের ওষুধকে অনুমোদন করুন। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এফডিএ তাদের মতামত জানাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটেন ইতিমধ্যেই এই ওষুধকে অনুমোদন দিয়েছে।
এই ওষুধ সম্পর্কে ফাইজারের প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোট ১,২১৯ জন রোগীর উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে প্যাক্সলোভিড আর কিছু রোগীকে প্লেসিবো দেওয়া হয়েছিল। কোভিডের উপসর্গ দেখার পর অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের সঙ্গেই যারা ফাইজারের কোভিড পিল খেয়েছিলেন তাদের মধ্যে ৮৯ শতাংশের ঝুঁকি অনেকটাই কমে গিয়েছে। ১ শতাংশকে এই ওষুধ খাওয়ানোর পরেও হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। কারোর মৃত্যু হয়নি। তবে অন্যান্য গ্রুপের ওষুধ খেয়ে সাত শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সাতজনের মৃত্যুও হয়েছে। দাবি ফাইজারের।