বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > বীর্যও নেই, যৌন ক্ষমতাতেও ডাহা ফেল,মডেলকে ধর্ষণ সম্ভব? জামিন পেলেন ফটোগ্রাফার

বীর্যও নেই, যৌন ক্ষমতাতেও ডাহা ফেল,মডেলকে ধর্ষণ সম্ভব? জামিন পেলেন ফটোগ্রাফার

মডেলকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ফটোগ্রাফার জামিনে মুক্ত হলেন। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Unsplash)

তিন বার যৌন ক্ষমতার পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই ফেল করেছেন তিনি। অবশেষে সেই ফটোগ্রাফার ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় জামিন পেলেন।

এক উঠতি মডেলকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল এক ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফারের বিরুদ্ধে। অবশেষে গুজরাট হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন তিনি। তার বয়স ৫৫ বছর। এদিকে তিনি আদালতে জানিয়ে দেন, আমি ধর্ষণ করব কী করে, তিন বারই তো আমার লিঙ্গ উত্থান হয়নি।এরপরই প্রশান্ত ধনক নামে এই ফটোগ্রাফারের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। এদিকে ওই উঠতি মডেলের অভিযোগ ছিল কাজ দেওয়ার বিনিময়ে তাকে ধর্ষণ করেছে ওই ব্যক্তি। 

একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, নভেম্বর মাসে বিজয় ক্রশরোড এলাকায় একটি হোটেলে তাকেফটধর্ষণ করা হয়েছিল। ধর্ষণের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠেছিল। এদিকে ২ মার্চ তার জামিনের আবেদনকে মঞ্জুর করেনি আদালত। 

এদিকে তার আইনজীবী আদালতে জানান, একজন যৌন অক্ষম ব্যাক্তিকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে। তার বীর্য সংগ্রহের জন্য় চিকিৎসকরা তিনবার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁর একবারও লিঙ্গ উত্থানও হয়নি। আবার বীর্যপাতও হয়নি। মেডিক্যাল রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে, তার ইরেকশনও হয়নি, ইজেকশনও হয়নি। তিনি ধর্ষণ করবেন কীভাবে? 

আইনজীবীর দাবি ওই মডেল বার বার টাকা চাইতেন। সেটা দিতে চাননি বলেই তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। 

ধনকের আইনজীবী খোলাখুলিই জানিয়েছেন আমার মক্কেলের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রথম ১০ মিনিট ধরে ভাইব্রেটর প্রয়োগ করা হয়েছিল। এরপর ড্রপলার আলট্রা সাউন্ডও ব্যবহার করা হয়েছিল। তাতেও কিছু হয়নি। তদন্তকারীরা সব সংগ্রহ করেছেন শুধু সিমেন সংগ্রহ করতে পারেননি। তিনি এই কারণের জন্য় বিয়েও করেননি। 

এরপরই ওই ব্যক্তিকে জামিন দিয়েছে আদালত। তাকে ১০,০০০ টাকা ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ প্রাথমিকভাবে আদালত মনে করছে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তার পেছনে নিশ্চয়ই কোনও মতলব ছিল। 

অন্তত তার যৌন ক্ষমতা রয়েছে কি না তানিয়ে তার তিনবার পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু একবারও সেই পরীক্ষায় তিনি পাশ করতে পারেননি। এমনকী তার সিমেনও সংগ্রহক করতে পারেননি তদন্তকারীরা। এরপরই গোটা ঘটনা আদালতে জানান আইনজীবী। তিনি জানিয়ে দেন, এই যৌন অক্ষমতার জন্যই তিনি বিয়ে করতে পারেননি। টাকা না পেয়েই  ওই মডেল তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ফাঁসিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তারপরই ওই ফটোগ্রাফারের জামিন মিলেছে। 

বন্ধ করুন