শুক্রবার দুপুরে জনবহুল করাচি শহরের মধ্যে ভেঙে পড়ল পাক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের একটি A-320 বিমান। করাচি এয়ারপোর্টের কাছে ভেঙে পড়ে বিমানটি। বিমানে মোট ৯৯ জন ছিলেন। কম করে ৬৬জন মারা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এরা সবাই বিমানের যাত্রী না কি কেউ কেউ যে বাড়িগুলিতে বিমানটি গিয়ে ভেঙে পড়ে, সেগুলির বাসিন্দা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে পাকিস্তানে এই ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। এই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন কমপক্ষে দুইজন। ইঞ্জিনের ত্রুটির জন্যেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
করাচির মডেল কলোনি চত্বরে পড়ে এই বিমানটি। কাছাকাছি চারটি বাড়িতে আগুন ধরে যায় ও কিছুজন তাতেও মারা গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঠিক ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশেই এই মডেল কলোনি, তাই উদ্ধারকাজের জন্য সেনাবাহিনীর মানুষরা ছুটে আসেন।
বিমানের যাত্রীদের কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কিন্তু বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।সিন্ধের প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ৬৬জনের মৃতদেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বিমানচালক সাজ্জাদ গুল অত্যন্ত অভিজ্ঞ। তিনি জানিয়েছিলেন যে রানওয়েতে ল্যান্ড করার সময় বিমানের একটি ইঞ্জিন বিগড়েছে।
পুরো ঘটনাটির তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সমস্ত রিসোর্স দিয়ে বিমান দুর্ঘটনার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান খান। ২০১৬ সালে পিআইএ-র এরকম একটা দুর্ঘটনায় ৪৮ জন মারা গিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের স্থানীয় সময় দুপুর ২.৩৭ নাগাদ এই দুর্ঘটনা হয়। পুরো জায়গা থেকে ধ্বংসস্তূপ সাফ করতে ২-৩ দিন লাগবে বলে জানা যাচ্ছে।