বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Fake news issue: পিআইবির চিহ্নিত করা 'ভুয়ো খবর' সরিয়ে ফেলতে হবে! কেন্দ্রের নয়া খসড়ায় মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

Fake news issue: পিআইবির চিহ্নিত করা 'ভুয়ো খবর' সরিয়ে ফেলতে হবে! কেন্দ্রের নয়া খসড়ায় মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়ে বড় বার্তা সরকারের।  ফাইল ছবি: টুইটার (Twitter)

সদ্য কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে এই প্রস্তাব এসেছে। মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি খসড়ায় জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার সংক্রান্ত কোনও খবর সত্যি না ভুয়ো তা যাচাই করবে পিআইবি। আর পিআইবির তরফে ‘ভুয়ো খবর’ বলে চিহ্নিত করা কনটেন্টকে সরিয়ে ফেলতে হবে ডিজিটাল দুনিয়ার এই সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে। জানানো হয়েছে, কোন খবরটি ভুয়ো তা চিহ্নিত করার অধিকার কেবল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবির হাতে রয়েছে।

প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে চিহ্নিত করা ‘ফেক নিউজ’ বা ‘ভুয়ো খবর’কে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে দিতে হবে। এই প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। তবে এমন পদক্ষেপে ক্ষমতার 'অপব্য়বহার'কে কেন্দ্র করে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবির ফ্যাক্ট চেক সংক্রান্ত বিভাগের চিহ্নিতকরণ করা ওই ফেক নিউজ ঘিরে আইনজীবী থেকে শুরু করে ডিজিটাল অধিকার সংক্রান্ত বহু গোষ্ঠীই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য, সদ্য কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে এই প্রস্তাব এসেছে। মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি খসড়ায় জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার সংক্রান্ত কোনও খবর সত্যি না ভুয়ো তা যাচাই করবে পিআইবি। আর পিআইবির তরফে ‘ভুয়ো খবর’ বলে চিহ্নিত করা কনটেন্টকে সরিয়ে ফেলতে হবে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে। জানানো হয়েছে, কোন খবরটি ভুয়ো তা চিহ্নিত করার অধিকার কেবল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবির হাতে রয়েছে। অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত ইস্যুতে প্রশ্ন তুলছেন। ইতিমধ্যেই এডিটার্স গিল্ড বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে সরব হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গিল্ড জানিয়েছে, কোনটা ভুয়ো খবর তা যাচাইয়ের ক্ষমতা শুধু পিআইবির হাতে থাকতে পারে না। সমালোচনা এসেছে 'সফ্টওয়্যার ফ্রিডম ল' সেন্টার থেকেও। ‘এশিয়া পেসিফিক পলিসি’র ডিরেক্টর রমনজিৎ সিং চিমা বলছেন, ‘এতে ওদের (পিআইবি) ক্ষমতা দিয়ে দেওয়া হবে যে, কোন কটেন্ট থাকবে আর কোনটি থাকবে না তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার।’ 

উল্লেখ্য, যে খসড়া পেশ করা হয়েছে, তাতে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যারা এই পিআইবির চিহ্নিত করা ভুয়ো খবর ‘তুলে ধরবে, দেখাবে, আপলোড করবে, মডিফাই করবে, প্রকাশিত করবে, ছড়িয়ে দেবে’ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবে, তাদের জন্য এই বিধি মেনে চলার বিষয়ে। এদিকে, এডিটর্স গিল্ড বলছে, অনলাইন পোর্টালগুলিতে এই নয়া বিধির ফলে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার চলে যাবে পিআইবি বা কেন্দ্রের হাতে। ফলে বিভিন্ন মহল থেকে একরাশ উদ্বেগ রয়েছে এই খসড়া ঘিরে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

 

 

 

 

বন্ধ করুন