রমেশ বাবু
গোটা দেশ জুড়ে পিএফআই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছিল এনআইএ। কেরলে অন্তত ২২জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে সংগঠনের শীর্ষনেতৃত্বও রয়েছেন। আর তারপরেই শুক্রবার হরতালের ডাক দিয়েছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। আর সেই বনধে একেবারে চরম হিংসা কেরল জুড়ে। এদিকে হাইকোর্ট ইতিমধ্য়েই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
সূত্রের খবর, অন্তত ৭০টি সরকারি বাসে ভাঙচুর করা হয়েছে। কান্নুরে আরএসএস অফিসেও ভাঙচুর করা হয়। বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজি হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স লক্ষ্য করেও পাথর ছোঁড়া হচ্ছে। ১২জন বাসযাত্রী ও ৬জন চালক জখম হয়েছেন। তাজা বোমা নিয়ে ধরা পড়েছে এক পিএফআই সমর্থক।
কান্নুরে সকাল থেকে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় পিএফআই সমর্থকরা। খবরের কাগজের গাড়িতেও বোমা ছোঁড়া হয়েছে। কোঝিকোড়ে পাথরের আঘাতে এক নাবালিকা ও এক অটো চালক জখম হয়েছে। একাধিক পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর মুখ ঢেকে তাণ্ডব চালাচ্ছে ওরা। মিডিয়ার গাড়িতেও ভাঙচুর করা হচ্ছে। পুলিশ ২০০জন পিএফআই সমর্থককে গ্রেফতার করেছে।
এদিকে কেরলের স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে, বাসের কর্মীদের রেহাই দিন। হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন চালকরা।
পুলিশ চিফ অনিল কান্ত জানিয়েছেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে বিজেপির দাবি, পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।