বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Registration of Live-in Relations: 'শ্রদ্ধা, নিকিই উদাহরণ', লিভ-ইনে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার দাবিতে মামলা SC-তে

Registration of Live-in Relations: 'শ্রদ্ধা, নিকিই উদাহরণ', লিভ-ইনে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার দাবিতে মামলা SC-তে

লিভইনে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার দাবিতে মামলা সুপ্রিম কোর্টে

শ্রদ্ধা ওয়াকার থেকে নিকি যাদবের মৃত্যুর ঘটনায় হাড় হিম হয়েছে আম জনতার। এই আবহে এবার লিভ-ইন সম্পর্কে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা মহিলাদের ওপর পরপর হামলা ও নৃশংস খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে গোটা দেশ। শ্রদ্ধা ওয়াকার থেকে নিকি যাদবের মৃত্যুর ঘটনায় হাড় হিম হয়েছে আম জনতার। এই আবহে এবার লিভ-ইন সম্পর্কে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে তারা লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের বাধ্যতামূলক করার জন্য আইন প্রণয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয়। মামলায় দাবি করা হয়েছে, বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে থাকা মানুষদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তাছাড়া এই সম্পর্কে যদি কোনও সন্তানের জন্ম হয়, তার ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত থাকবে। এই জনস্বার্থ মামলার সঙ্গে পাঁচটি এমন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে যেখানে লিভ-ইন পার্টনারকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: BJP শাসিত রাজ্যে ৩০,০০০ মানুষ শেয়ার করেছে শিশুদের পর্ন! চাঞ্চল্যকর তথ্য রিপোর্টে)

উল্লেখ্য, গতবছর গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, গতবছর ১৮ মে শ্রদ্ধা ও আফতাবের ঝগড়া হয়েছিল। ঝগড়ার সময় শ্রদ্ধার মুখ চেপে ধরেছিল আফতাব। তারপর তাঁকে খুন করেছিল আফতাব। পুলিশ জানিয়েছে, হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছিল আফতাব। কয়েক বছর আগে শেফ হিসেবেও কাজ করত সে। কীভাবে মাংস কাটতে হবে, তা নিয়ে দু'সপ্তাহের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। যে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করেছিল আফতাব। দেহের ৩০টিরও বেশি টুকরো করে তা নতুন কেনা ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল আফতাব। ১৮ দিনে সেই দেহাংশগুলি জঙ্গলে গিয়ে ফেলে এসেছিল আফতাব।

এদিকে সম্প্রতি দিল্লির নজফগড়ে নিকি যাদব হত্যাকাণ্ডেও হতবাক হয়েছে গোটা দেশ। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সাহিল গেহলট নামক 'পার্টনার'। অবশ্য পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালেই নিকি ও সাহিলের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর দিন খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল সাহিলকে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, সাহিল ও নিকি লিভ-ইন পার্টনার। এদিকে তা সত্ত্বেও অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হন সাহিল। যা নিয়ে এই গোটা বিবাদের সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, ৯ ফেব্রুয়ারি বাগদানের পর বাড়িতে বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজনদের সঙ্গে পার্টির মাঝেই বেরিয়ে এসে নিকি যাদবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সাহিল। গাড়িতে বসিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে। এরপরেই সুযোগ বুঝে নিকির গলায় চার্জিং কেবল পেঁচিয়ে খুন করে সাহিল। নিকির মৃতদেহ পাশে বসিয়ে প্রায় ৪০ কিলোমিটার গাড়ি চালায় সাহিল। পরে ধাবার ফ্রিজে প্রেমিকার দেহ রেখে দিয়ে আসে সাহিল। প্রেমিকাকে খুন করার কয়েক ঘণ্টা পরই হাসি মুখে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে সাহিল। এই দুই ঘটনা বাদেও আরও তিনটি ঘটনার উল্লেখ করে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে লিভ-ইন সম্পর্কে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলত করার দাবিতে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে আবেদনকারীর তরফে।

 

বন্ধ করুন
Live Score