গন্তব্য কুম্ভ মেলা। আর তাই টিকিট না কেটেই ট্রেনের থার্ড এসি (বাতানুকূল কামরা) কোচে উঠে পড়ছেন তীর্থযাত্রীরা! এমনই একটি ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যা দেখে নানা মানুষ নানা মতামত ব্যক্ত করছে।
ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কামরার ভিতর উচ্চস্বরে ধর্মীয় সঙ্গীত বাজানো হচ্ছে এবং সেখানে থিক থিক করছে মানুষের ভিড় (হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। এমনকী, যে আসন আরপিএফ সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত, সেখানেও বসে রয়েছেন কয়েকজন যুবক।
তাঁদের দাবি, তাঁরা প্রয়াগরাজ যাচ্ছেন মহাকুম্ভ মেলায় যোগ দিতে। এবং কার্যত স্বগর্বে ঘোষণা করার সুরে স্বীকার করছেন, তাঁদের কাছে ট্রেনের টিকিটই নেই!
এই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়েছে। অধিকাংশ নেট নাগরিক এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক নেট নাগরিক যেমন স্পষ্ট ভাষায় লিখেছেন, ‘আরে ভাই, এটা তো একেবারেই ভুল জিনিস। ধর্মের নামে এসব করা চলবে না।’
কেউ কেউ আবার এই অনিয়ম বা বেআইনি আচরণে অন্য়ায় কিছু দেখছেন না! তাঁদের মতে, মহাকুম্ভ বলে কথা। সেখানে তো একটু-আধটু এমন হতেই পারে। একটু মানিয়ে গুছিয়ে নিতে হবে আর কী!
এক ব্যক্তি যেমন কমেন্ট করেছেন, 'আমি বিশ্বাস করি, সকলেরই একটু মানিয়ে নেওয়া উচিত। এমনকী, যাঁদের কাছে টিকিট রয়েছে, তাঁদেরও। কারণ, কাউকে যদি কুম্ভ যাত্রায় অংশ নিতে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে মহাদেবের আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত হতে হবে। দিনের শেষে, আমরা সকলেই তো এখানে একই কারণে এসে জড়ো হয়েছি।'
প্রায় একই সুরে মন্তব্য করেছেন আরও একজন। তিনি লিখেছেন, 'দয়া করে একটু মানিয়ে গুছিয়ে নাও। কুম্ভে যাওয়া সব সনাতনীরই স্বপ্ন।'
প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভ উপলক্ষে ইতিমধ্য়েই প্রয়াগরাজে অগণিত মানুষের ভিড় জমা হয়েছে। অনেকে ইতিমধ্য়েই পুণ্যস্নান করে ফিরে গিয়েছেন। অনেকেই আবার মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত মেলাস্থলেই থাকছেন।
হিসাব বলছে, মহাকুম্ভের প্রথম ১১ দিনেই অন্তত ৯ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষের আগমন ঘটেছে। এই কোটি কোটি মানুষের অধিকাংশই ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুমান, মেলা শেষ হতে হতে সেখানে অন্তত ৪৫ কোটি দর্শনার্থী আসবেন। আর সেটা যদি হয়, তাহলে তা হবে যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ইতিহাসে সবথেকে বেশি জনসমাগমের ঘটনা। শুধুমাত্র গত বৃহস্পতিবারই মহাকুম্ভে ১৬ লক্ষ ৯৮ হাজার মানুষ পুণ্যস্নান করেছেন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।