রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। এবার তা নিয়েই কংগ্রেসকে বড় খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজস্থানে দ্বিধা বিভক্ত কংগ্রেসের দুই শিবির। একদিকে অশোক গেহলট। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।অপর দলে শচিন পাইলট। প্রাক্তন ডেপুটি। রাজস্থানের ভরতপুর থেকে তিনি শচিন পাইলটকে একহাত নেন।
অমিত শাহ জানিয়েছেন, তিনি যাই করুন শচিন পাইলটের নম্বর আসবে না। কারণ কংগ্রেসের কোষাগারকে পূর্ণ করতে অশোক গেহলটের অবদান আরও বেশি।
এদিকে এর আগে শচিন পাইলট রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসার জন্য যাবতীয় চেষ্টা করেছিলেন। কার্যত সেই উচ্চাকাঙ্খাকেই খোঁচা দিলেন অমিত শাহ।
তিনি জানিয়েছেন, পাইলটজী আপনি যাই করুন না কেন আপনার নম্বর আর আসবে না। হয়তো গ্রাউন্ড লেভেলে আপনার অবদান অশোক গেহলটের থেকেও বেশি। কিন্তু কংগ্রেসের কোষাগার পূর্ণ করতে গেহলটজীর অবদান আরও বেশি। বুথস্তরের পার্টি কর্মীদের প্রতি বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই একদিনের প্রতীকী অনশনে সম্প্রতি বসেছিলেন শচিন পাইলট এনিয়েও কটাক্ষ করেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, এখানকার মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজস্থানকে দুর্নীতির আতুরঘরে পরিণত করেছে। গোটা রাজ্য জুড়ে তারা লুঠ করেছে। সেই লুঠের টাকা গিয়েছে কংগ্রেসের কোষাগারে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, মানুষ ভোটের মাধ্য়মে এই সরকারের পতন ঘটাবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করবে বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিকে সম্প্রতি রাজস্থানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসের সরকারকে একহাত নেন মোদী। তিনি জানিয়েছিলেন, রাজস্থানের ব্যাপক উন্নতি হতে পারত যদি সেখানে বিজেপি শাসিত সরকার থাকত। যদি সেখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার রাজস্থানে থাকত। তবে সেখানেও উন্নতি হত। রাজস্থানে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দৌসা জেলার একটি সভায় মোদী বলেছিলেন, সীমান্ত এলাকায় রাজস্থান সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করছে না। আসলে তারা ভয় পাচ্ছে। তারা ভাবছে, তারা এনিয়ে সংসদেও বলেছে যে যদি শত্রুরা রাস্তা দিয়ে ঢুকে পড়ে। আসলে কংগ্রেস চিরদিনই আমাদের সেনাদের ক্ষমতাকে যোগ্য মর্যাদা দেয় না। আন্ডার এস্টিমেট করে। তাদের সাহসিকতাকে স্বীকার করে না। তারা জানে না আমাদের বাহিনী জানে কীভাবে শত্রুপক্ষকে আটকাতে হয়। কীভাবে তাদের মুখের উপর জবাব দিতে হয়। সেটা আমাদের বাহিনী জানে।
মোদী বলেছিলেন, কীভাবে ওরা সরকার চালাচ্ছে সেটা আর লুকানোর কিছু নেই। এবার বাজেট সেশনে রাজস্থানে কী হয়েছিল সেটা সব জায়গায় চর্চা হচ্ছে। আমি মানছি ভুল সবারই হতে পারে। কিন্তু কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গিটাই নেই। আসলে এবার বাজেট পড়তে গিয়ে গতবারের বাজেট পড়া শুরু করেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই খবর।
এবার কংগ্রেস সরকারকে খোঁচা দিলেন অমিত শাহ।