কুকুর ভালোবাসেন, কুকুর পোষেন! ভবিষ্যতে পিটবুল বা রটওয়েলার কেনার ইচ্ছা রয়েছে! তাহলে এখনই ইচ্ছে ত্যাগ করতে হবে। এই দুই ব্রিডের কুকুর পোষা নিয়ে কড়াকড়ি করে দিয়েছে ভারতেরই এক রাজ্যের সরকার। সূত্রের খবর, পিটবুল এবং রটওয়েলার ব্রিডের আমদানি, বিক্রি এবং প্রজনন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোয়া সরকার।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। সরকার গোয়া অ্যানিমাল ব্রিডিং, ডোমেস্টিক রেগুলেশনস এবং কম্পেনসেশন অর্ডিন্যান্স ২০২৪ নামক একটি আইন পরিবর্তন করে এই নতুন নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করবে বলে জানা গিয়েছে।
হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী
বছর কয়েক আগে একটি রটওয়েলার তার বাড়ির গেট ভেঙে দু' টি শিশুকে আক্রমণ করেছিল। আক্রমণে একটি শিশু গুরুতর আহত হয়েছিল। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর গোয়ার বিভিন্ন স্থানে আক্রমণাত্মক কুকুরের আক্রমণ আরও বেড়েছে। ২০২৩ সালের অগস্টে, একটি পিটবুল পাঁচ বছরের একটি বাচ্চাকে আক্রমণ করে, মারা যায় বাচ্চাটি। আবার মাস কয়েক আগে রটওয়েলার কুকুরের কারণেই আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। একটি রটওয়েলার ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে দিয়েছিল। এ ঘটনায় কুকুরের মালিককে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এরই কয়েক দিন পর, এই মাসের শুরুতে, ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে, উত্তর গোয়ার আসাগাও গ্রাম আক্রমণাত্মক কুকুর নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আদেশ জারি করে পদক্ষেপ করে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে পিটবুল এবং রটওয়েলারের মতো বিপজ্জনক প্রজাতির মালিকদের তাঁদের কুকুরগুলিকে জনসাধারণের কাছে ঘোরাফেরা করতে দেওয়া যাবে না। বারণ করা সত্ত্বেও যদি এমনটা করতে দেখা যায়, তাহলে কুকুরের মালিককে আইনি শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: (বাবা কৃষক, মা আশাকর্মী, দিল্লি জয় করল মধুমেহ নিয়ে বঙ্গপুত্রের হোমিওপ্যাথি গবেষণা)
এই ব্রিডের বর্তমান মালিকরা কী করবেন
মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত জানিয়েছেন যে যারা ইতিমধ্যেই পিটবুল বা রটওয়েলারের মালিক, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও অসুবিধা হবে না। এখনও ওই প্রাণীদের পোষা যাবে, তবে তাঁদের নিজেদের ওই পোষা প্রাণীর পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে। প্রাণীদের সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
এমন একের পর এক মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করতেই তাই এবার পিটবুল, রটওয়েলার কুকুর ব্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোয়া সরকার। এমনিতেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সাওয়ান্ত বলে দিয়েছিলেন যে সরকার যত দ্রুত সম্ভব আক্রমণাত্মক কুকুরের জাত নিষিদ্ধ করবে। বলা, গোয়ার নতুন নিয়মের লক্ষ্য জননিরাপত্তা উন্নত করা এবং বিপজ্জনক কুকুরের আক্রমণের ঝুঁকি কমানো। সরকার বিশ্বাস করে যে নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির কুকুর নিষিদ্ধ করলে গোয়ার জনগণকে, বিশেষ করে শিশুদের মর্মান্তিক বিপদের হাত থেকে রক্ষা করা সহজ হবে।