শখ করে এক পরিবার পিটবুল পুষেছিল। বেরেলির খলিলপুর এলাকায় থাকে সেই পরিবার। আর সেই বাড়ির পিটবুল যে এমন হিংস্র হয়ে উঠবে তা কে জানত! সেই পিটবুলই ঝাঁপিয়ে পড়ে মালিকের ছেলের উপর। আদিত্য শঙ্কর গাঙ্গোয়ারের ঠোঁটের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুরটি। তার ঠোঁট ও মুখের একাংশ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
গাঙ্গোয়ারকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সোমবার রাতে ওই ব্যক্তির মুখের অপারেশন করা হয়। বনদফতর জানিয়েছে, পুরসভার টিম ইতিমধ্য়েই কুকুরটিকে ধরেছে। অ্যানিমাল বার্থ সেন্টারে কুকুরটিকে আপাতত রাখা হয়েছে। সেই কুকুরটি যাতে আর কাউকে কামড়াতে না পারে সেকারণে কুকুরটিকে ওখানে রাখা হয়েছে।
তবে এবারই প্রথম পিটবুল আক্রমণ করল সেটা নয়। গত বছর এপ্রিল মাসে ৩০ বছর বয়সি হরিয়ানার বাসিন্দা এক ব্যক্তির উপর হামলা চালায় পিটবুল কুকুর। সেটি তার গোপন স্থান একেবারে কামড়ে ছিঁড়ে নেয়। তিনি কুকুরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবরকম চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটি কিছুতেই ছাড়ছিল না। এরপর তিনি ওই কুকুরের মুখে একটি কাপড় ঠেসে ধরে। তারপরই সেটি তাঁকে ছেড়ে দেয়।
ওই ব্যক্তি মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিলেন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার অবস্থা গুরুতর ছিল।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন সপ্তাহখানেক ধরে ওই কুকুরটি এলাকায় ঘুরছিল। দিন দুয়েক আগে সেটি অপর একজনকে কামড়ে দিয়েছিল। কুকুরের ভয়ে গ্রামের লোকজনও বাড়ির বাইরে আসতে ভয় পাচ্ছেন।
এর আগে এক মহিলা ও তার দুই ছেলের উপর হামলা চালিয়েছিল পিটবুল। মহিলার পায়ে, হাতে মাথায় ৫০টি সেলাই করতে হয়েছিল। এদিকে ওই কুকুরটি পোষা ছিল। সেটাই এভাবে হামলা চালিয়েছিল।
এর আগে পিটবুলের হামলার একাধিক ঘটনা রয়েছে। ভয়াবহ ঘটনা হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। কুকুরের ভয়াবহ হামলা। সাত বছরের এক শিশুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দুটি পিটবুল। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল সে। লিথিন নামে ওই শিশুটি দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। একেবারে মুখ ও শরীর থেকে মাংস খুবলে নিয়েছিল ওই দুই সারমেয়।
একেবারে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল কিশোরের মুখ। ৫৮টি সেলাই করতে হয়েছিল তার শরীরে। এনিয়ে দ্বিতীয়বার এই ধরনের ঘটনা হল।
ওই কিশোরের বাবা কুকুরের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ওই বিল্ডিংয়ের মালিক অনিল কুমারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। ওই পরিবার ওই বিল্ডিংয়ের নীচের তলায় থাকেন। আর কুকুরের মালিক থাকতেন একতলায়।