যে কর বাকি আছে, তার এক পয়সাও জমা দেননি উত্তরপ্রদেশের ব্যবসায়ী পীযূষ জৈন। এমনই দাবি করল ডিরেক্টরেট অফ জিএসটি ইন্টেলিজেন্স (ডিজিজিআই)। ওই সুগন্ধী ব্যবসায়ী বকেয়া করের টাকা দিয়েছেন বলে বিভিন্ন মহল থেকে যে দাবি করা হচ্ছিল, তার কোনও সারবত্তা নেই।
বৃহস্পতিবার বিবৃতি জারি করে ডিজিজিআই জানিয়েছে, কনৌজের সুগন্ধী ব্যবসায়ীর থেকে ১৯৭.৪৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ২৩ কিলোগ্রাম সোনা এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে ডিজিজিআই। চারদিনের অভিযানে যে ব্যবসায়ীর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেইসব সামগ্রী। তারইমধ্যে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমোদন পেয়ে বকেয়া কর হিসেবে ৫২ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন পীযূষ। ডিজিজিআইয়ের তরফে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের রিপোর্ট পুরোপুরি সারবত্তাহীন। তার কোনও ভিত্তি নেই। নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে যে তদন্ত চালানো হচ্ছে, তার ন্যায়পরায়ণতাকে খাটো করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পীযূষের বাড়িতে অভিযান চালায় সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের দল। সম্প্রতি বাজারে 'সমাজবাদী পারফিউম' নামক এক সুগন্ধী এনেছিল পীযূষের সংস্থা। তারইমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে করফাঁকির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেন আয়কর আধিকারিকরা। তারপর করফাঁকির অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার করা হয় পীযূষকে। তল্লাশির মধ্যেই সোমবার পীযূষকে কানপুরের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের (কর্পোরেশন) আদালতে তোলা হয়। সেন্ট্রাল জিএসটির আর্জির ভিত্তিতে পীযূষকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।